ভারত কেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বদলে স্থিতিশীলতার কথা বলছে

প্রথম আলো কামাল আহমেদ প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:২৮

শুরুতেই চলতি সপ্তাহের দুটি খবরের দিকে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রথমটি বাংলাদেশের সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের ১৭ ডিসেম্বরের একটি প্রতিবেদন। এতে তারা জানিয়েছে, ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী। কারণ, তিনি স্বৈরাচার থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন।’


ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামী দশকগুলোতে এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে দেশটির অবস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি ছিলেন মূল বক্তা।


তিনি আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় তিনি এখানে দারুণ আনন্দ দেখতে পাচ্ছেন।


দ্বিতীয় খবরটিও ভারতের আরেকজন সাবেক কূটনীতিকের বক্তব্যসম্পর্কিত, যা তিনি ১৮ ডিসেম্বর ঢাকাতেই একটি দৈনিকের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেছেন। বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় কে নির্বাচিত হবেন, সে বিষয়ে দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন।’


তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটা বোঝা যে নির্বাচনে আসতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভারত গণতন্ত্র চায়, কিন্তু আমরা গণতন্ত্র রপ্তানি করি না। সব দেশেই গণতন্ত্রের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে, আমরা সে পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিই।’


এর বিপরীতে বছরখানেক ধরে নির্বাচনে বিদেশিদের নাক গলানো নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এবং তাঁদের সমর্থকেরা যেসব বক্তব্য দিয়ে এসেছেন, সেগুলো স্মরণ করে দেখুন। সেগুলো উদ্ধৃত করতে গেলে এই নিবন্ধে আর অন্য কিছু লেখার জায়গা হবে না।


এম জে আকবর ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও পেশাদার কূটনীতিক নন, বরং বিজেপির একজন সক্রিয় রাজনীতিক। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নির্বাচনকালীন একজন বিদেশি রাজনীতিকের মুখ থেকে আমাদের সরকারপ্রধানের প্রশংসা শোনার দরকার পড়ল কেন, সে প্রশ্ন নিশ্চয়ই করা যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও