যারা নির্বাচনে গেল তারা কি নির্বাচন নিয়ে খুশি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৯

কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন ভাব করল যে তারা এমন একটি নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দেবে, যা কেবল বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তারা দুই বছর ধরে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করল। আগের নির্বাচন কমিশনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা একাই কথা বলতেন এবং ইসি মাহবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্ট দিতেন। হাবিবুল আউয়াল কমিশনের সবাই কমবেশি কথা বলেন। কিন্তু এত কথা, এত বিবৃতি, এত আলোচনার ফলাফলটা কী হলো?

সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ নির্বাচন কমিশন সংবিধানের বাইরে যেতে পারে না বলে তাঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা চালালেন। তাই নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করল, তাতে দেশের রাজনৈতিক শক্তির একাংশ যোগ দিল, আরেক অংশ বর্জনের আহ্বান জানাল। এ রকম পরিস্থিতি অতীতে একবারই তৈরি হয়েছিল—২০১৪ সালে। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সব বিরোধী দল এককাট্টা হয়ে বর্জনের ডাক দেওয়ায় সেই নির্বাচন একদলীয় নির্বাচনে রূপ নেয় এবং বিএনপি সরকারকে দেড় মাসের মাথায় সংসদ ভেঙে দিতে হয়।


২০০৬-০৭ সালেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব মহাজোট আন্দোলনের ডাক দিলে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নির্দলীয় সরকার নির্বাচনটিই করতে পারল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে নিবন্ধিত ৩৯টি দলের মাত্র ১২টি অংশ নেয়। সেই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল ১৫৩টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায়।


এর সঙ্গে এবারের দৃশ্যপট মিলিয়ে দেখা যাক। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৯টি। বর্জন করছে বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ ১৫টি দল। যারা বর্জন করেছে, স্বাভাবিকভাবেই তারা এই নির্বাচনে অখুশি হবে। তারা সেই অখুশির কথা দেশবাসীকে সশরীর জানাতে না পারলেও প্রায় প্রতি রাতে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে।


কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো কি নির্বাচন নিয়ে খুশি আছে? দুই সপ্তাহে ধরে রাজনৈতিক মহলে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। কার সঙ্গে কার আসন ভাগাভাগি হবে? আওয়ামী লীগের সঙ্গে অন্যান্য দলের, যাদের মধ্যে আদর্শিক জোটের শরিক ১৪ দলের নেতারা আছেন, মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি আছে। আছে নতুন মিত্র তৃণমূল বিএনপি, বিএমএফ, বিএসপি ইত্যাদি দল। কিন্তু রোববার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আসন ভাগাভাগি কিংবা সমঝোতায় কেউ খুশি নয়। ১৪ দলের নেতারা প্রকাশ্যে তাঁদের অখুশির কথা জানিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও