পাকিস্তান থেকে কতটুকু এগোলাম?

www.ajkerpatrika.com ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৭

২০২৩ সালের ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৫২তম বিজয় দিবসকে ধারণ করছে। ১৯৪৭-৭১ পর্বে পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানকে অভ্যন্তরীণ উপনিবেশ হিসেবে শোষণ, বঞ্চনা, সীমাহীন বৈষম্য ও লুণ্ঠনের অসহায় শিকারে পরিণত করেছিলেন পাকিস্তানের শাসকেরা, যার পরিণতিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয় অর্জন করে আমরা পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলাম। যে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ডাইমেনশন বাংলাদেশের অর্থনীতির এই ইতিবাচক পরিবর্তনকে ধারণ করছে, সেগুলো নিম্নরূপ:


১. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০২২’ মোতাবেক ২০২২ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী জনসংখ্যার অনুপাত ১৮ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, অথচ ১৯৭২ সালে এ দেশের ৮২ শতাংশ মানুষের অবস্থান দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল।


২. ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে ১৯৮১-৮২ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত হিসেবে বৈদেশিক সাহায্য ১০ শতাংশের বেশি ছিল এবং ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে ওই অনুপাত ১৩ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। জিয়ার আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈদেশিক অনুদান ও ঋণনির্ভরতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। বৈদেশিক সাহায্যের ওপর এ দেশের অর্থনীতির নির্ভরতা ক্রমান্বয়ে কমে ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে জিডিপির ১ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের মাত্র ১ শতাংশের মতো ছিল খাদ্য সাহায্য, আর বাকি ৯৯ শতাংশই ছিল প্রকল্প ঋণ। এখন বাংলাদেশ আর পণ্য সাহায্য নেয় না। এর তাৎপর্য হলো, বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতির টিকে থাকা না-থাকা এখন আর কোনোভাবেই নির্ভর করে না। বাংলাদেশ এখন আর খয়রাতনির্ভর দেশ নয়; এটা এখন একটি বাণিজ্যনির্ভর দেশে পরিণত হয়েছে।


৩. বাংলাদেশ এখন তার আমদানি ব্যয় আর রপ্তানি আয়ের ব্যবধানটা প্রায় বছর মেটাতে সক্ষম হচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে পাঠানো রেমিট্যান্সের চমকপ্রদ প্রবৃদ্ধির হার এবং বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বছরের পর বছর অব্যাহত চলমান প্রবৃদ্ধি দেশের লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাবে স্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও