কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আ.লীগের ‘প্রীতি ম্যাচের’ ভীতি

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৭

বিএনপিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেসব কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে, তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো দলের মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র, বিকল্প কিংবা ডামি প্রার্থীদের উৎসাহিত করা।


বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতির ইতিহাসে এটা অভূতপূর্বই বলতে হবে। আগে কোনো আসনে মনোনীত কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের আশঙ্কা থাকলে বিকল্প প্রার্থী দাঁড় করানো হতো। এবার প্রায় সব আসনেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাঁড়িয়ে গেছেন, যদিও ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখের পরই চূড়ান্ত তালিকা জানা যাবে।


আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭(১১) ধারায় বলা আছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেউ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে সরাসরি বহিষ্কার হবেন। এমনকি প্রার্থী না হলেও কেউ দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করলে তদন্ত সাপেক্ষে বহিষ্কার হবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব অনেক ভেবেচিন্তে সেই প্রার্থীকেই মনোনীত করেছিল, যাঁর দক্ষতা, গ্রহণযোগ্যতা অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের চেয়ে বেশি।


একাদশ জাতীয় সংসদের ৭১ জন সংসদ সদস্য মনোনয়ন পাননি, দলের মনোনয়ন বোর্ড যাঁদের যোগ্য মনে করেনি। অথচ তাঁদেরই আবার উৎসাহিত করা হচ্ছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য।


আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব মনে করছে, নির্বাচনে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী যেসব দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই। ফলে একতরফা ‘গোল’ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের এই নীতি বুমেরাংও হতে পারে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখাতে যদি একই দলের একাধিক প্রার্থী দাঁড় করানো হয়, তাহলে তো দলীয় শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না। অনেক স্থানে এর আলামতও শুরু হয়ে গেছে। সারা দেশের অসংখ্য ঘটনা থেকে এখানে দুটি উল্লেখ করছি: 


এক. কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদকে হুমকি দিয়ে উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার বলেন, ‘আবু কালাম বিষফোড়া হইলেও আমরার উপকার করে দিছে। এখানে আছে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (বর্তমান সংসদ সদস্য)। বাঘের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা আছে, কিন্তু রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা কারও নেই। রাজী মোহাম্মদ তো পরের বিষয়, তুই আগে আমরার থাবা থেকে বাঁচ! আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম। আরে কম্পিটিশন তো দূরের কথা, জামানত থাকত না।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও