কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রার্থী ডামি দুঃখগুলো ডামি নয়

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৭

প্রতিটি জাতীয় সংসদ একটি নতুন প্রবণতা, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা নিয়ে আসে। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিটিই বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে এসেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এর বাইরে থাকতে পারছে না।


এবারের বহুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে, ডামি বা বিকল্প প্রার্থী। সাধারণভাবে ধারণা এই যে কোনো কারণে মূল প্রার্থী নিজে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তিনি এমন কাউকে নির্বাচনে প্রার্থী করেন, যাতে সে নির্বাচিত হলেও ক্ষমতা তার নিজের হাতেই থাকে। কিন্তু এবার তেমন হচ্ছে না। প্রধান বিরোধী দলসহ অনেক দল অংশ না নেওয়ায় ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছিল ক্ষমতাসীন দল। যা নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল এবং এখনো বিতর্ক চলছে। এ ধরনের নির্বাচন নয়, আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার তাগিদ দিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা অনেক দেশ। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকা দলগুলো এবারের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট দেখানোটা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের শীর্ষপর্যায় থেকে বলা হয়েছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে খবর আছে। প্রয়োজন হলে ডামি প্রার্থী রাখতেও বলা হয়েছে। ফলে হাওয়াটাই পাল্টে গেল।


আগে দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু এবার স্বতন্ত্র প্রার্থিতার বিষয়টি উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হলেও তারা মূলত আওয়ামী লীগের ঘরের লোক হিসেবেই থাকছেন। ফলে নির্বাচন হবে আমি আর ডামির মধ্যে। যেই জিতুক না কেন তারা তো একই দলের। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আর ডামি প্রার্থী এক নন। তিনি বলেছেন, ‘ডামি প্রার্থী ও স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী এক নয়। প্রধানমন্ত্রী যে ডামি প্রার্থী রাখতে বলেছেন সেটা সব জায়গায় নয়। যেসব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন জমা নাও দিতে পারেন, এমনটি মনে হলে সংশ্লিষ্ট আসনের নৌকার প্রার্থী নিজ দলে কাউকে প্রার্থী মনোনীত করবেন। এমনটাই বোঝানো হয়েছে।’


এতে ব্যাপারটা আরও খোলাসা হলো। তবে ডামি প্রার্থী একটি দলের ভেতর থেকেও যেমন হতে পারে, তেমনি তাদের সহযোগী দলের মধ্য থেকেও আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ডামি প্রার্থী করার ভাবনা এসেছে প্রধানত নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর জন্য। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা ‘ডামি বা বিকল্প’ প্রার্থী হচ্ছেন তাদের ‘খেলনা বন্দুকের’ সঙ্গে তুলনা করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবারের নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছেন ডামি ক্যান্ডিডেট রাখার জন্য। আসলে ডামি ক্যান্ডিডেট কী সেটা তো আমরা জানি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও