থমকে আছে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া

দেশ রূপান্তর দীপায়ন খীসা প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৬

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছিল ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’। দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সশস্ত্র সংঘাতের অবসানে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক এই ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির বয়স ২৬ বছরে পদার্পণ করেছে। চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল দুটি পক্ষের মধ্যে। একটি পক্ষ হচ্ছে জনসংহতি সমিতি এবং অন্য পক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। চুক্তিটি ক, খ, গ ও ঘ এভাবে ৪টি খণ্ডে বিভক্ত। ক) খণ্ড সাধারণ, খ) খণ্ড পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ/পার্বত্য জেলা পরিষদ গ) পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ঘ) পুনর্বাসন, সাধারণ ক্ষমা ও অন্যান্য বিষয়াবলি। ক) খণ্ডে ৪টি খ) খণ্ডে ৩৫টি গ) খণ্ডে ১৪টি এবং ঘ) খণ্ডে ১৯টি ধারা আছে। এসবের আবার অনেকগুলো ধারার বিভিন্ন উপধারা রয়েছে।


চুক্তির ক খণ্ডের প্রধানতম ধারাটি হচ্ছে পার্বত্য অঞ্চল ‘উপজাতি’ অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে। সেই সঙ্গে এই বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তাও এই ধারায় স্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু চুক্তির ২৬ বছরের মধ্যে এই চিত্রের উল্টো জনমিতি আমরা পরিলক্ষিত করছি। সুতরাং ‘উপজাতি’ অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা এবং বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা কেবল কাগজে-কলমেই স্বীকৃত। বাস্তবতা হচ্ছে, জনসংখ্যার অনুপাতের পরিবর্তন ঘটতে শুরু হয়েছে। সর্বশেষ জনশুমারি বলছে, জেলা, সদর উপজলা এবং পৌরসভাগুলোতে পাহাড়ের জুম্ম জনগণের হার ৫০ শতাংশের নিচে চলে গেছে। চুক্তি মোতাবেক, স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে পৃথক ভোটার তলিকা প্রণয়ন করে পার্বত্য ৩ জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন করার কথা ছিল। চুক্তির ২৬ বছরেও সরকার সেই ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজই শুরু করতে পারেনি।


পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি নিষ্পত্তি কমিশন গঠন এবং নিষ্পত্তির জন্য আইন প্রণীত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের তরফ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৭-তে ভূমি কমিশনের বিধিমালা ভূমি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার এখনো সেই বিধিমালা চূড়ান্ত করেনি। এর ফলে ভূমি কমিশনের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ এখনো শুরু করা যায়নি। এ ছাড়া ভূমি কমিশনের নেই পর্যাপ্ত তহবিল ও জনবল। চরম সত্য হচ্ছে, সেই ভূমি কমিশন একটি ভূমি বিরোধও নিষ্পত্তি করেনি। চুক্তির ‘ঘ’ খণ্ডের ১নং ধারায় বর্ণিত ‘তিন পার্বত্য জেলার অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের নির্দিষ্টকরণ করে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা’ সংক্রান্ত বিষয়টিও অদ্যাবধি বাস্তবায়িত হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও