কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইসি কি নিজের দায়িত্বটা ঠিকমতো বোঝে?

যুগান্তর এরশাদুল আলম প্রিন্স প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৬

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী সরকার ও সরকারপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচনমুখী। এদিকে নির্বাচন বিবাদ নিয়ে এ মুহূর্তে সংলাপের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে কিনা সরকারের কাছে সেটিই বিবেচ্য। সরকারের দায়িত্ব সংবিধান রক্ষা করা, আর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচনের তফশিল দেওয়া। কিন্তু রাজনৈতিক সমঝোতা না করে সংবিধান ও কমিশনের তফশিল অনুযায়ী যদি নির্বাচন হয়, তবে নিশ্চিতভাবেই আমরা আবারও একটি একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। সরকার জেনে-বুঝেই আবারও এমন একটি একতরফা নির্বাচনের ঝুঁকি নিয়েছে। একতরফা সুবিধা নিতে হলে একতরফা ঝুঁকিও নিতে হয়।


কমিশনের কাজ শুধু তফশিল ঘোষণা করা নয়। তফশিল ঘোষণার পরও কমিশনের অনেক কাজ থাকে। সব দায়িত্ব সংবিধানে লেখা থাকে না। সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীনভাবে (অনুচ্ছেদ-১১৮) নির্বাচন পরিচালনা করা (অনুচ্ছেদ-১১৯) কমিশনের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য যা যা করা দরকার কমিশন তা করবে। কিন্তু বর্তমান আউয়াল কমিশন কি তা করছে? এ কমিশন কি জনগণকে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে পারবে?


জাতীয় নির্বাচনের সবচেয়ে বড় অংশীদার হচ্ছে রাজনৈতিক দল। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক বা পারস্পরিক দায়িত্বের বিষয়গুলো সংবিধানে বা আইনে লেখা নেই। আইনে না থাকলেও রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে কার্যত বিরোধী দলের (De facto Opposition) অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নির্বাচন তো শুধু পুলিশি প্রহরায় ভোটাভুটি নয়। নির্বাচনে কতটি দল অংশগ্রহণ করল, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো কারা অংশগ্রহণ করল। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মূল রাজনৈতিক দল বিশেষ করে সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণ। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ কারণ, সে নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেনি। ঠিক একই যুক্তিতে আজও প্রধান বিরোধী দল যদি নির্বাচনে না আসে তবে সে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাবে। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন যে কারণে প্রশ্নবিদ্ধ, ঠিক একই কারণে ২০১৪ সালের নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ।


রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দেশের ভোটাররা নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারল কিনা সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের দিন খুব সুষ্ঠু পরিবেশ, ভোটারদের দীর্ঘ লাইন-কিন্তু ভোটাররা ভোট দিতে পারল না-একে কি সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যায়? এমন নির্বাচনের নজিরও কি আমাদের নেই?


কাজেই, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল ও জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারে। একটি নির্বাচনে যদি সরকারি দল অথবা প্রধান বিরোধী দলের বদলে আরও ডজনখানেক রাজনৈতিক দলও অংশগ্রহণ করে, তাতে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায় না। সে কারণেই ইইউ বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক বা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা বলছে। আর সরকার সেটি অনুধাবন না করে তৃণমূল বিএনপি বা এ জাতীয় আরও নামসর্বস্ব দলকে অন্তর্ভুক্ত করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও