কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এর নাম চিকিৎসাসেবা!

যুগান্তর মনজু আরা বেগম প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২১

বাজার সিন্ডিকেটের দাপটে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এমনিতেই আমাদের নাভিশ্বাস উঠেছে, তার ওপর জীবনধারণের প্রধান মৌলিক যে উপাদান এবং অধিকারগুলো রয়েছে, বিশেষ করে খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা, সেগুলো থেকেও আমরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি বলা যায়। দেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতের অর্থাৎ চিকিৎসাসেবার দৈন্যদশা, দুর্নীতি ও মানবতাবিবর্জিত কার্যকলাপের কারণে আমরা সাধারণ মানুষ দিশেহারা। কেবল ভুক্তভোগী ছাড়া এ কষ্ট সবার পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। গণমাধ্যমগুলোর বদৌলতে জনগণের ভোগান্তির কিছু কিছু বিষয় প্রকাশ হলেও বা এসব নিয়ে বিজ্ঞজনরা লেখালেখি করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা এগুলো পড়েন বা এসবের বিরুদ্ধে তেমন একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বলে মনে হয় না।


দুঃখজনক বিষয় হলো, এসব খবর বা লেখা শুধু কালির আঁচড়ে পত্রিকার পাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। স্বাস্থ্যসেবা এখন আর সেবাধর্মী কাজ না হয়ে এটি এখন হয়েছে বাণিজ্যের প্রধান উপকরণে। অথচ আমাদের সংবিধানে ৫টি মৌলিক অধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতি বছর ৩.৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হচ্ছেন এবং ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন ২৪.৪ শতাংশ পরিবার। ২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস’-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে রোগীদের নিজ পকেট থেকে ব্যয় হয় মোট ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ। যদিও এ হিসাব ২০১৫ সালের। বর্তমানে এ ব্যয় আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।


স্বাস্থ্য খাতে বর্তমানে এই যে অব্যবস্থা চলছে, তার কারণ হিসাবে গত ১৪ আগস্ট যুগান্তরে প্রকাশিত ‘কয়েক হাজার চিকিৎসক হয়েছেন ১৬ বছরে’ শিরোনামে ডাক্তারদের নিয়ে ভয়াবহ এক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিগত ২০০১ থেকে ২০১৭-এই ১৬ বছরে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে চার হাজার ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ক্রয় করে বেশিরভাগই ইতোমধ্যে পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসক হয়েছেন। জানা যায়, কোচিং সেন্টারের আড়ালে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এভাবে বছরের পর বছর ফাঁস হয়েছে মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রশ্নপত্র। সিআইডি’র সাইবার পুলিশ ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের তদন্ত করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় নিয়মিত প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের সন্ধান পান। ২০০৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে চার দফা প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে জানা যায়। ২০২০ সালে মিরপুর থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা হয়। মামলার তদন্তে জানা যায়, চক্রের প্রায় ৮০ জন সক্রিয় সদস্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধ উপায়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছে। ১৩ আগস্ট সিআইডি’র সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাপ্রধান পুলিশের অতিরিক্ত আইজি এসব তথ্য দেন বলে পত্রিকান্তরে জানা যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও