ভালো না লাগলেও শীতে যে ৫ কারণে গায়ে মাখবেন সর্ষের তেল
গোসলের আগে সুগন্ধী তেল মেখেছেন, পরে ময়েশ্চারাইজার মাখতেও ভোলেননি। তা-ও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চামড়ায় নখ লাগলেই সাদা দাগ হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা নামতে থাকলেই চামড়ায় টান অনুভব করেন অনেকে। হাত, পা, ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। দেহের অন্যান্য অংশও খসখসে হয়ে যায়। ক্রিম বা সুগন্ধী তেল মাখলে সাময়িক উপকার হয়। কিন্তু তার প্রভাব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তবে, যে তেলটি ছাড়া বাঙালির রান্নাঘর একেবারে অচল, সেই তেলটিই ত্বকচর্চায় কাজে আসতে পারে।
ঘনত্ব বেশি, চটচটে এই তেল গায়ে মাখলে পোশাক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তা সত্ত্বেও ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে সর্ষের তেল একাই একশ।
১. শুষ্ক ত্বকের সমস্যায়
শীত পড়তে না পড়তেই চামড়ায় টান ধরতে শুরু করেছে? ঠোঁটের মতোই হাত-পায়ের চামড়া ফেটে যাচ্ছে? এধরনের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে সর্ষের তেল। এর মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ত্বকের প্রাকৃতিক তেল এবং আর্দ্রতা—দুই-ই ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে শুষ্ক বাতাস ত্বকের আর্দ্রতা চুরি করে নিতে পারে না।
২. প্রদাহ দূর করে
ঠাণ্ডা, শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়। এগজিমা, সোরিয়োসিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পছন্দের যেকোনো ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সর্ষের তেল মিশিয়ে নিন। দেহের যে অংশগুলো বেশি খসখসে, সেখানে মেখে ফেলুন এই সর্ষের তেল এবং ক্রিমের মিশ্রণ।
৩. রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে
ত্বকের কোষে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে নিয়মিত মাখতে হবে সর্ষের তেল। কোষের মধ্যে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে এবং পেশির নমনীয়তা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে উষ্ণ সর্ষের তেল। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হালকা গরম সর্ষের তেলের মালিশ অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- ত্বকের যত্ন
- সরিষা তেল