কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা আর অতৃপ্তি

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৪১

আকাঙ্ক্ষার নির্বাচন যে ৫ বছর পর পর আশঙ্কার নির্বাচনে পরিণত হয়, এই চক্র থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছেন সবাই। কিন্তু পথ কী হবে আর পদ্ধতিই বা কেমন হবে তা নিয়েই চলছে বিরোধ। রাজনীতিতে বিতর্ক থাকবেই এবং এই বিতর্ক জনগণের রাজনৈতিক চেতনাকে উন্নত করে। আবার যখন দেশের সামগ্রিক কিছু বিষয় এবং রাজনীতিতে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন কিছু বিষয়ে একমত হওয়া প্রয়োজন। এই প্রয়োজনের কথা বলছেন যারা, তারা রাজনীতিতে কিংবা ক্ষমতাসীনদের কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। তাই তাদের উদ্বেগ এবং যুক্তির কথা পাত্তাই পায়নি। রাজনীতিকে যেভাবে চর্চা করা হচ্ছে, তাতে এসব ভাবনা ভবিষ্যতেও মূল্য পাবে কিনা বলা মুশকিল।    


বাংলাদেশের রাজনীতিকে খেলার সঙ্গে তুলনা করতে করতে এবং ‘খেলা হবে’ কথাটিকে বহুবার বলতে বলতে ব্যাপারটা শুনতে একঘেয়ে লাগছিল। কারণ খেলবে কারা, কোন মাঠে, কোন নিয়মে, রেফারি বা আম্পায়ার হবেন কে, আম্পায়ারের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। খেলা হতে গেলেও তো কখন খেলা হবে সে বিষয়ে একমত হতে হয়, না হলে একপক্ষ যদি খেলতে না আসে তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ওয়াকওভার পেয়ে বিজয়ী হবে অপরপক্ষ। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ না এলে দুর্বল দলের সঙ্গে খেলে অথবা নিজেরাই দুই ভাগ হয়ে দুই দলে পরিণত হয়েও খেলার নামে সময় কাটানো যায়, কিন্তু তাতে খেলার আনন্দ, আর বিজয়ের গৌরব আর মানুষের স্বীকৃতি কোনোটাই থাকে না। কারণ জয়-পরাজয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো খেলা। যেখানে আনন্দ থাকবে, থাকবে উৎকর্ষের প্রচেষ্টা। আগের চেয়ে মান আরও ভালো হয়েছে কিনা, দুর্বলতাগুলো দূর হয়েছে কিনা তার একটা যাচাই হবে। কারচুপি নয়, অন্যায় করে হারিয়ে দেওয়া নয়, জিতেছি যোগ্যতায় এটা ভাবতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু রাজনীতি কি খেলার সঙ্গে তুলনীয় বিষয়। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একটা দেশের জনগণের অর্থনীতি, সংস্কৃতি। একে  খেলার সঙ্গে তুলনা করাটা খুবই নিম্নমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যা নেতাদের মুখ থেকে এখন সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রচলিত হয়ে গেছে।  


ফুল ফুটছে, আরও ফুটবে, শত ফুল ফোটার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এটিও এখন বহুল চর্চিত একটি রাজনৈতিক বুলিতে পরিণত হয়েছে।  ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ফুল ফোটার কথা বলেছেন। অনেক ফুল ইতিমধ্যেই ফুটতে শুরু করেছে এবং আরও নাকি ফুটবে। জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, কোন ফুল যে কোন মালীর যত্ন ফুটবে এবং কোন ফুলে কোন দেবতা তুষ্ট হবেন? অতীতে সরকারি প্রশ্রয়ে রাজানুগত কিংস পার্টি গড়ে তোলার কথা জনগণ ভুলে যায়নি। তারা ফুটেছিল অল্প সময়ের জন্য, ঝরেও গেছে দ্রুত এবং মানুষ তাদের নাম ভুলেও গেছে। বেশিরভাগই বিস্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছে। কিন্তু সুবিধা নেওয়ার সংস্কৃতিটা স্থায়ী করে দিয়ে গেছে, যা রাজনীতিতে এক অমোচনীয় কালির দাগের মতো থেকে গেছে এবং রাজনীতিকে অনৈতিক সুবিধার হাতিয়ার বানানোর নতুন নতুন উদাহরণ তৈরি করেছে।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও