এই তফসিল যেভাবে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলল

প্রথম আলো এম সাখাওয়াত হোসেন প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:১০

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে এবার যতটা আলোচনা–সমালোচনা প্রত্যক্ষ করছি, উপমহাদেশের কোনো দেশের নির্বাচন নিয়ে এর আগে এমনটা ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না। বিশেষ করে বিশ্বের বড় বড় শক্তির মধ্যে টানাপোড়েন আমরা দেখছি। পর্দার আড়াল থেকে নয়, দূর থেকেও নয়, সরাসরি দেশের ভেতরে তাঁরা কথাবার্তা বলছেন, নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন।


রাজনৈতিক মাঠে কিছুদিন আগেও আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখতে পেয়েছিলাম। তখন আমাদের কাছে মনে হয়েছিল, এবার হয়তো একটু ভিন্ন চিত্র দেখা যাবে। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর আর সেই পরিবেশ দেখা গেল না।


সরকারের বাইরে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল চায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন হোক। এর কারণ হলো, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যে ধরনের নির্বাচন হয়েছে, তার অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও নির্বাচন দুটি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।


সাম্প্রতিক কালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক, উপনির্বাচন হোক—কোনো নির্বাচনই আমরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় গ্রহণযোগ্য হতে দেখিনি। কিন্তু অনিয়ম, কারচুপি বন্ধে নির্বাচন কমিশনের বলিষ্ঠ ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি। নির্বাচন কমিশন হয়তো যুক্তি দিতে পারে, আইনের অপ্রতুলতার কারণে তারা পদক্ষেপ নিতে পারেনি। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের হাতে যে অন্তনির্হিত ক্ষমতা দেওয়া আছে, তারও প্রয়োগ করতে দেখিনি।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দু–তিন বছর ধরে বিভিন্ন মহল থেকে বিস্তর কথাবার্তা চলছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, সংবিধানের বাইরে তারা যাবে না। কিন্তু নির্বাচনের আগে আমরা দেখছি যে নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে যে দলটি, তার কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই এখন কারাগারে। কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো নেতা না থাকায় বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে একটা বিশৃঙ্খলা চলছে। হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি তারা দিচ্ছে।


তফসিল ঘোষণার পর সেটি প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপি শুধু একা নয়, নির্বাচনে বামপন্থী দলগুলোও তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ অনেক দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করে আসছে। তারাও তফসিলকে স্বাগত জানায়নি। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন না থাকলেও তারা মাঠে আছে। জাতীয় পার্টিও কোথায় যাবে, কী করবে তা নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় আছে। দীর্ঘদিন ধরেই নেতৃত্ব নিয়ে দলটিতে একটা ফেঁকড়া লেগে আছে। ফলে দলটির অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও