টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন কত দূর
দেশে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার খবর আসছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে চার বছর আগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামার পর আশা করা হয়েছিল, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে। কিন্তু বাস্তবে সেটি ঘটেনি। দুর্ঘটনা রোধে সরকার নানা আশ্বাস দিলেও সড়কে বিশৃঙ্খলা রয়েই গেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, চার বছরের মধ্যে ২০২২ সালে সড়কে সবচেয়ে বেশি প্রাণ ঝরেছে। গত বছর অন্তত সাড়ে ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৩ জনের। ফলে কোনোভাবেই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
সড়ক পরিবহনব্যবস্থা চরমভাবে বিশৃঙ্খল হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগই আলোর মুখ দেখছে না। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক–অপ্রাতিষ্ঠানিক দুই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এ জন্য সরকারকেই সামনে থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।
বিভিন্ন জরিপ ও গবেষণা থেকে দেখা যায়, গণপরিবহন ৫৩ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করে। আর ব্যক্তিগত গাড়ি পরিবহন করে মাত্র ১১ শতাংশ যাত্রী। অথচ ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা সড়কের ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে চলে। মোটরসাইকেল চার চাকার যানবাহনের তুলনায় ৩০ গুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ইদানীং মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর-যুবরা ব্যাপক মাত্রায় হতাহত হচ্ছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ৫৮ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ৪০ বছর। এই ভয়াবহ চিত্র রোধ করতে হলে মোটরসাইকেল চালনার ক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।