তবে কি আরেকটি ২০১৪?

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১০

বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। তফসিল অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ১-৪ ডিসেম্বর, ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।


তিনি এমন সময়ে তফসিল ঘোষণা করলেন, যখন বিরোধী দল সরকারের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ উল্লাস করে তফসিলকে স্বাগত জানালেও বিরোধী দল প্রত্যাখ্যান করেছে।  


বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হওয়ার পর শুক্র ও শনিবার বাদ দিয়ে রোববার ও সোমবার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছে, নির্বাচনের আগপর্যন্ত তারা মাঠ দখলে রাখবে। তফসিল ঘোষণার দিন বিএনপির তেমন সক্রিয়তা দেখা না গেলেও জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বড় মিছিল করে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে।


তফসিল ঘোষণার আগে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চিঠি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা হয়েছিল এবং সংলাপের বিষয়ে ক্ষীণ আশাবাদ জেগেছিল। জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। বিএনপিও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছিল বিষয়টি। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চিঠি পাওয়ার পর বললেন, তফসিল ঘোষণার পর আর সংলাপের সুযোগ নেই।


সংঘাত ও সহিংসতা পরিহার করার একমাত্র উপায় হলো সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধান। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সংলাপ হতে পারে না, এ রকম কোনো বিধান নেই। অতীতে তফসিল ঘোষণার পরও আলোচনা হয়েছে। বিরোধী দলের দাবি মেনে ভোটের তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে।


তফসিল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারও কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্য ও সংলাপের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়। পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্থা, সহনশীলতা ও সহমর্মিতা টেকসই ও স্থিতিশীল গণতন্ত্রের জন্য আবশ্যকীয় নিয়ামক।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও