সিডরের অভিযোগনামা

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০৩

গত ১৫ নভেম্বর ছিল সিডর দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় সিডর সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অর্থনীতিতে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ ঘটায় তার প্রকৃত প্রতিবিধান এখনো মেলেনি। অথচ সিডরের তা-বে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নামে ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ক আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে সান্ত¡না, সামর্থ্য ও ‘প্রকৃতির কাছ থেকে সদাচার পাওয়ার জন্য নিজেদের সদাচারী হওয়ার পরামর্শ’ লাভ করা হয়েছে। সিডরের পর আইলা, মাহাসেন, নার্গিস, ফণী, আম্ফান, আয়াজ, মুখো প্রমুখেরা একই তান্ডব চালিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সিডরের বিরুদ্ধে অভিযোগনামা গঠন যায় কি না এ ব্যাপারে সুন্দরবনের বাবাহকু (বাংলাদেশ বাঘ হরিণ ও কুমির) ফেডারেশনের আইন ও নিবর্তন নিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটিকে দেখতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সুন্দরবনের কচিখালিতে বাবাহকুর কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার মন্ত্রকের মুখপত্র মলিশা মঞ্জিলা সাংবাদিকদের এ কথা জানায়। মলিশার সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে বার্তাসংস্থা উবিসস প্রেরিত বাতাস বার্তায় জানা যায়, গত সোমবার বাবাহকুর উচ্চ পরিষদ বনে-জঙ্গলে বিরোধীদলীয় সদস্যদের আনা এক মোশন প্রস্তাবের ওপর তীব্র ও প্রখর আলোচনার এক পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় সিডর সুন্দরবনের প্রাণী ও প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিতে এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশে ফেটে পড়েন পক্ষ-বিপক্ষের সবাই। সবার সম্মিলিত দাবির মুখে খোদ সিডরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে একটি সালিশি ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর সুবিদখালীর বর্ষীয়ান সদস্য, পাখপাখালী গোত্রের নেতা শঙ্খশালিয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়।


সিডর এসেছিল বাইরের থেকে, তার ওপর অভ্যন্তরীণ আইনের আওতায় নাশকতার দায় চাপানো যুক্তিযুক্ত হবে কি না এ ব্যাপারে সংশয় ও সন্দেহ প্রকাশ করেন বাবাহকুর আইন ও সালিশ উপদেষ্টা বানরিয়া বাচাবন। অবশ্য বানরিয়া বাচাবনের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিরোধী পক্ষের বিচার সালিশ বিশেষজ্ঞ ময়নামন্দা। ময়নামন্দার মতে যেখান থেকেই আসুক না কেন বৈরী বাতাস যেখানে যার ঘর ভেঙেছে সেখানেই তার হতে হবে বিচার। তিনি মেকং বনে বাঘ সম্প্রদায়ের সুখ্যাতির সর্বনাশ সাধনে দূর দ্বীপবাসী তক্ষক ও ভক্ষকদের বিরুদ্ধে দেওয়া একটি ঐতিহাসিক রায়ের কথা উল্লেখ করেন।


প্রাথমিক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে সংবাদসংস্থা বৈরী বাতাস ডট কম পরিবেশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসের শুরুর দিনগুলোতে শ্রীলঙ্কার অদূরে ভারত সাগরে ‘সিডর’ (সিংহলি ভাষায় যার অর্থ চোখ) নামক নিম্নচাপটি প্রথম নয়ন মেলে। জলবায়ু ও আবহাওয়া সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা সেবারকার সুকোমল মল্লিকাবনের নিম্নচাপটিকে কলি ফুটে  ঘূর্ণিঝড়ে বয়োপ্রাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার সিডর নাম বরাদ্দ করে বসে। সিডর বংশে ও মেজাজে বড্ড একরোখা। লক্ষ্যভেদী তার পদচারণা। হিংস্র তার চাহনি। কানকথা শোনা তার স্বভাব। অনেক আগে থেকেই সে যেন জানে বিশ্বের সেরা গহিন গরান বন অনেক লোকালয়কে নানান ঝড়ঝাপটা থেকে বাঁচাতে নিজে মাথা পেতে নেয় সব ধাক্কা। সিডরের রক্তে প্রতিশোধের আগুন। তার এজেন্ডায় এবার আসে সেই গহিন গরান বন। সঙ্গে সে সুবাদে গহিন গরান বনের দেশটির অর্থনীতিকে ধাক্কা দেওয়াটাও তার পরিকল্পনার ফ্রেমে ঢুকে পড়ে। সিডর তার চোখে যা দেখে এবং দেখতে পায় না তা তার মনেরই প্রকাশ ঘটায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও