তলে তলে কোন অতলে ছুটছে দেশ

দেশ রূপান্তর মোস্তফা কামাল প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৪

তলের খবর এখনো অতলেই। ওপরে-ওপরে ঘটনার ঘনঘটা। রাজমেহমান লেগেই আছে বাংলাদেশে। এক গ্রুপ যেতে না যেতেই আরেক গ্রুপ। যাতায়াতের এ বাঁকে আমাদের শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল। দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের একটা বাজে সময়ে ঢাকা সফরে তারা। তারা ১২ নভেম্বর আসবেন এবং ৫ দিন থাকবেন বলেই দিনকয়েক আগ থেকে মজুরি বাড়ানোর দাবি নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনের ছক সাজানো কি-না; এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সরকার নিশ্চিত এর পেছনে নোংরা রাজনীতি রয়েছে। মালিকরাও সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ায় কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, তা ক’দিন! এ কয়েকদিনে কাহিল তারাও। খেয়ে না খেয়ে শ্রমিক-কর্মীদের অবস্থা আরও করুণ। পোশাকশিল্পকে ঘিরে যারা চক্রান্ত করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে এবং কারখানা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সরকারকে বলেছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তাদের দাবি করার আগেই সরকার গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চল নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, চট্টগ্রাম ও টঙ্গী এলাকার কারখানাগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। হতাহতের ঘটনার পর চলছে কড়া নজরদারি।


স্যোশাল মিডিয়ার ইউটিউবারদের জন্য এ সময়টা বেশ লাভজনক। হাবিজাবি বকে মানুষকে প্রলুব্ধ করে হিট বাড়িয়ে বাড়তি কামাইয়ের লোভে দিওয়ানা তারা। রাজনীতি-কূটনীতির এ গরম মৌসুম বুঝে দেশের ভেতর ও বাইরের কিছু ইউটিউবার নানা গরম কথায় মুখরোচক ব্যাখ্যায় দর্শক বাড়িয়ে নিজেদের ব্যবসা লুটছে। আন্দোলনেরও সাড়ে সর্বনাশ করেছে। তাদের মতলব রাজনীতির লোকদের অনেকের বোঝার বাইরে। বুঝের এ ঘাটতির কারণে নিজে বিভ্রান্ত হচ্ছেন, অন্যকেও তা করে ছাড়ছেন। অক্টোবরে দেশ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে বলে কী বিভ্রান্তই না করা হয়েছে মানুষকে। এর জেরে আন্দোলনের স্পিড এবং স্পিরিট দুটোই আরেক বাঁক নিয়েছে। 


রাজনৈতিক কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মার খাচ্ছেন, আর ইউটিউবাররা দূরে বসে ঘি মধু খেয়ে নিরাপদ জীবনযাপন করছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দিল্লি গেছেন মর্মে উত্তেজনায় কত কনটেন্ট বানিয়ে ছেড়েছে এই ইউটিউবার ও ফেসবুকার সম্প্রদায়। এরা কার পক্ষে বা বিপক্ষে বোঝা মুশকিল। বিভক্তি তৈরি ও টিকিয়ে রাখায় কামিয়াবি এ সম্প্রদায়টি অবশ্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়া আর কাউকে দেখে না। এর মধ্যে চরম দৃষ্টান্ত রেখেছেন ভারতীয় সাংবাদিক চন্দন নন্দী। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে সরকার পতন, স্যাংশন, ভিসা বাতিলের তথ্য দিয়ে গেছেন একের পর এক। এগুলো মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। তার সবশেষ ঘোষণা ছিল- ৩ নভেম্বর শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ছেন। চন্দন নন্দীর লেখায় অতিমাত্রায় উল্লসিত হয়েছে সরকারবিরোধী মহল। কিন্তু তারা বুঝে উঠতে পারেননি চন্দন নন্দী জার্নালিজম করেননি। করেছেন সেনসেশনালিজম। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও