শুধু অবকাঠামো নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নও জরুরি

বণিক বার্তা মো. সিরাজুল ইসলাম প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২২

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাম্প্রতিক সময়ে একটি অনুষ্ঠানে দেশের অর্থনীতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে গিয়ে কিছু বক্তব্য প্রদান করেছেন, যা এখন ভাইরাল। তার একটি হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন ব্যতীত সুদৃশ্য এ অবকাঠামোগুলো কঙ্কালসদৃশ। কথাটির গুরুত্ব প্রণিধানযোগ্য। দেশে এখন যে দু-চারজন দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিত্ববান বুদ্ধিজীবী আছেন ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ তাদেরই একজন। সরকারকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য সৎ উদ্দেশ্যেই তিনি এ উপদেশ দিয়েছেন বলে আমার ধারণা। এটা অবশ্যই অনস্বীকার্য যে গত দেড় দশকে এ সরকারের আমলে দেশের অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন হয়েছে তা স্বাধীনতা-পরবর্তী পর্যায়ে সবচেয়ে বড় অর্জন। এটি দেশের চিত্র বদলে দিচ্ছে। তবে এর ফলকে টেকসই করতে আরো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রয়োজন। 


নিঃসন্দেহে কঙ্কাল দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি ছাড়া আপনি দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু রক্ত-মাংস ছাড়া একটি কঙ্কাল মৃত মানুষেরই প্রতীক। তেমনি একটি দেশের উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তবে জনগণের ট্যাক্সের টাকা কিংবা ঋণ—বহু কষ্ট করে এই যে অবকাঠামো, পরবর্তী সময়ে এর সঠিক ব্যবহারের জন্য সৎ ও দক্ষ জনশক্তি যদি তৈরি করা না হয় তাহলে তা বেহাল কিংবা মৃতপ্রায় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। সাম্প্রতিক সময়ে একটি টিভি প্রতিবেদন দেখছিলাম। গত এক দশকে রেলের অবকাঠামো উন্নয়নের পেছনে খরচ করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু সেবার মান বাড়েনি! সেই অপেশাদার আচরণে অভ্যস্ত টিটি, ড্রাইভার, অলস স্টেশনমাস্টার, সিগনালম্যান, অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারী। বেড়েছে দুর্ঘটনা। অনেকগুলো দৃষ্টিনন্দন সুদৃশ্য রেল স্টেশন করা হয়েছে। তেমনি একটি নতুন রেল স্টেশনে একবার ঢুকে দ্বিধায় পড়লাম, এটা কি রেল স্টেশন নাকি ময়লার ভাগাড়? রেলের এ করুণ চিত্রের সাক্ষী হয়ে টিভিতে হররোজ প্রচারিত হচ্ছে ‘রুচি’ ডালের একটি বিজ্ঞাপন—ট্রেন আসতে আরো সাড়ে ৪ ঘণ্টা দেরি! 


সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত, নগর যোগাযোগে নতুন দিগন্ত, মেট্রোরেল নিয়েও তাই ভাবনা হচ্ছে। অথচ উন্নত দেশে, যেমন জাপানে রেল চলে সেকেন্ডের কাঁটা মেপে। খোদ জাপানিরা, আধুনিকতম জাপানি প্রযুক্তিতে বানিয়ে দিয়ে গেছে এ মেট্রোরেল। একই স্থাপনা, একই প্রযুক্তি—তবে পার্থক্যটা কোথায়? এর কারণ ‘‌মানুষ’-এর যোগ্যতার হেরফের—তার জ্ঞান, শিক্ষা, সময়ানুবর্তিতা ও কর্মদক্ষতার বিস্তর পার্থক্য! নিপ্পন-কোয়েই বানিয়েছে এ মেট্রোরেল। কোম্পানিটির বাংলাদেশ শাখার প্রায় সর্বোচ্চ পদে আছেন একজন বাংলাদেশী প্রকৌশলী। দেখা হলেই বলেন, ‘মেট্রোরেলে উঠেছেন? তাড়াতাড়ি একবার চড়েন, দেখেন কী জিনিস বানিয়ে দিয়ে গেছি।’ পাঁচ বছর পর এটা চলবে কিনা সন্দেহ তার, তাই তাড়াতাড়ি দেখে নেয়ার পরামর্শ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও