চাল আমদানি ছাড়াই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের
সারা বিশ্বেই চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। চাল রফতানির বৃহত্তম উৎস ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ চাল রফতানিতে এরই মধ্যে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে দেশের চালের বাজার অনেকটা স্থিতিশীল। গত অর্থবছরে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হলেও এবার এখনো কোনো আমদানি করা হয়নি। সরকারিভাবে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল আমদানি না করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিগত মৌসুমগুলোয় উৎপাদন ভালো হওয়ায় আগামী আমন মৌসুমের সংগ্রহ পর্যন্ত চাল আমদানির প্রয়োজন নেই। এর পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণেও চাল আমদানি না করে খাদ্য পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয়া যায়, সেদিকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ) সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে প্রায় ১০ লাখ ৫৬ হাজার টন চাল আমদানি হয়। এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে ১ লাখ ৪০ হাজার টন চাল আমদানি হয়। এর পুরোটাই আনা হয়েছিল বেসরকারিভাবে। এরপর অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে আমদানি হয় ৫ লাখ ২৭ হাজার টন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৩ লাখ ৬৬ হাজার টন আর বেসরকারিভাবে আমদানি হয় ১ লাখ ৬১ হাজার টন। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে আমদানীকৃত ৩ লাখ ৮১ হাজার টনের মধ্যে সরকারিভাবে ২ লাখ ৬৮ হাজার টন এবং ১ লাখ ১৩ হাজার টন চাল বেসরকারিভাবে আনা হয়। ওই অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বেসরকারিভাবে আমদানি হয় আট হাজার টন চাল।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- সরকার
- চাল আমদানি