চিত্রকর সুলতানের কৃষিচিন্তা

বিডি নিউজ ২৪ পাভেল পার্থ প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৫২

এস. এম. সুলতানের চিত্রকর্ম বিষয়ে আলাপগুলোকে একত্র করলে এই ভাষ্য প্রকট থাকে যে, সুলতান ‘কৃষক’ এবং ‘কৃষির’ ছবি এঁকেছেন। সুলতানের কৃষকের পেশি, শ্রেণি, বর্গ, জেন্ডার নিয়ে আলাপ জারি থাকলেও তাঁর কৃষিচিন্তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো আলাপ নেই। সুলতানের চিত্রকর্ম আমাদের কোন ধরণের কৃষিব্যবস্থার প্রতি দায়বদ্ধ ও দায়িত্বশীল করে তুলে কিংবা কোন কৃষিজগতের শক্তি সুলতানকে ক্রমশ চিত্রকর্মী করে তুলেছে এসব আলাপও খুব কম।


গ্রহ হিসেবে পৃথিবীর বিকাশ ও বিবর্তনে সকল প্রাণ-প্রজাতির মতো প্রজাতি হিসেবে মানুষের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক মিথষ্ক্রিয়ার এক যুগপৎ বিস্ময়কর উদ্ভাবন ‘কৃষিকাজ’। প্রজাতি হিসেবে ‘হোমো স্যাপিয়েন্সরাই’ প্রায় দশ-বারো হাজার বছর আগে পৃথিবীতে কাঠামোগত কৃষির সূচনা করেছিল। তবে এই কৃষি-সূচনায় নিয়ানডার্থাল, ডেনোসোভান, ইরেক্টাস কিংবা ফ্লোরিয়েনসিস প্রজাতির মানুষেরও লক্ষ বছরের অগ্রগতি কোনো না কোনোভাবে ভূমিকা ও অবদান রেখেছে। নিদারুণভাবে এই কৃষিকাজই হত্যা করেছিল অগণিত বুনো প্রাণপ্রজাতি ও প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র। নির্দয় গণহত্যা আর গণবিলুপ্তি ঘটিয়েই দুনিয়ার ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কৃষিকাজ। কৃষিজীবী কৃষিসমাজ। কিন্তু গত প্রায় পঞ্চাশ বছরে কৃষিকাজের জন্য আমূল পাল্টে ফেলা হয়েছে পৃথিবীর ভিত।


মূলত ষাটের দশকে শুরু হওয়া তথাকথিত ‘সবুজ বিপ্লবের’ মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী ঘটেছে এক পরিবেশগত অন্যায়। অগণিত উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির গণবিলুপ্তি ঘটেছে। মানুষ কেবল একতরফাভাবে নিজের খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে দুনিয়ার তাবৎ প্রাণপ্রজাতির খাদ্যভাণ্ড ছিনতাই করেছে। কারণ সবুজবিপ্লবই কৃষিতে বিদ্যমান স্থানীয় প্রযুক্তি, স্থানীয় জাত ও বিকাশমান কৃষিচিন্তাকে হটিয়ে বিদায় করেছে। আর অত্যন্ত সফলভাবে ঘটানো এই পরিবেশগত অন্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছে কৃষকের নিজস্ব জ্ঞান ও শস্যফসলের প্রতি অবিশ্বাস, সিনথেটিক সার, রাসায়নিক বিষ, যন্ত্রচালিত সেচ, হাইব্রিড বীজ ও জেনেটিক ফসলের বাণিজ্যকে। মূলত কৃষকের শ্রমে-ঘামে এই অগ্রগতি গড়ে ওঠলেও কৃষির ধরণ, দর্শন ও মনস্তত্ব নিয়ে আমাদের কোনো পাবলিক তর্ক ও তৎপরতা তেমন নেই। বাংলাদেশের কৃষি কেমন হবে, কৃষিজীবন কেমন হতে পারে এই পাবলিক কৃষি-জিজ্ঞাসা আমাদের নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও