ছেলে ছাত্রলীগ করলে বাবা কেন বিএনপি করতে পারবেন না

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৪

প্রথমে খবরটি পড়ে বিশ্বাস করতে পারিনি। বাবা যুবদল বা বিএনপি করেন বলে ছেলে আত্মহত্যা করতে চাইবে, এটা হতে পারে না। ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখেন। সাংস্কৃতিকভাবে উন্নত দেশগুলোতে ১৮ বছর হওয়ার আগেও  মা–বাবা সন্তানকে কোনো বিষয়ে চাপ দিতে পারেন না। সেখানে মা–বাবারা যেমন সন্তানের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন না। পরিবার থেকে রাষ্ট্র সবক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ইচ্ছেই প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আর আমাদের এখানে চলে জবরদস্তি।  


প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, বিএনপির রোডমার্চে অংশ নেওয়া বাবার ছবি দেখে নীরব ইমন (২২) নামের চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এক ছাত্রলীগ নেতা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট আলকাজ পণ্ডিত বাড়িতে। ইমন পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ জহির (৪৫)। তিনি পোমরা ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি। ইমন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সেখানে ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমনও। এ সময় চট্টগ্রাম নগরে অনুষ্ঠিত বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে বাবার অংশ নেওয়ার একটি ছবি ইমনকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠান তাঁর সহকর্মী অন্য এক ছাত্রলীগ নেতা। বিএনপির মিছিলে ইমন বাবার ছবি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়িতে ছুটে যান এবং এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে বিষ পান করে বসেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসার পর এখন তিনি ভালো আছেন বলে জানা যাচ্ছে।


ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইমনের বাবা মোহাম্মদ জহির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ছিলাম শহরে। ঘরে কী হয়েছে, জানি না। তবে আমি বিএনপির প্রোগ্রামে এসেছি শুনে ইমন বিষ পান করেছে বলে জেনেছি।’পোমরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘ইমনের বাবা সম্পর্কে আমার ফুফাতো ভাই৷ তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকায় আমার সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হতো না। তবে ইমন তাঁর বাবাকে প্রায় সময় বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে আসতে বলতেন। এরপরও তাঁর বাবা বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে যাওয়ায় ক্ষোভে ইমন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জেনেছি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও