কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইসি অন্তত ফোঁস করুক!

প্রথম আলো সারফুদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:১০

মরুভূমিতে বসে বড়শি দিয়ে ট্যাংরা মাছ ধরে, সেই মাছ কলমিশাক তুলে রেঁধে খাওয়ার প্রত্যাশা চলে না। কারণ, সেখানে ডোবা-খালের বাস্তবতা নেই। সেখানে বড়জোর দুম্বা চরাতে চরাতে খেজুর কুড়িয়ে খাওয়ার প্রত্যাশা চলে।


তার মানে, ‘প্রত্যাশা’ যুক্তিনির্ভর জিনিস। তার বিচরণক্ষেত্রের নাম ‘বাস্তবতা’। প্রত্যাশার ধরনই বাতলে দেয় বাস্তবতা। আর বাস্তবতা চিরকালই আবেগবিযুক্ত; রূঢ় ও যুক্তিনির্ভর। এই কারণে বাস্তব অবস্থার সঙ্গে মেলে না, এমন প্রত্যাশাকে ঠিক প্রত্যাশা বলে না। সেটিকে বরং কল্পনা বা ‘পাগলের দিবাস্বপ্ন’ বলার চল আছে।


১৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এক কর্মশালায় যোগ দিয়ে প্রত্যাশা ও বাস্তবতার সেই ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তা ও উপযোগিতা অনেকের মতো আমাকেও ভাবিয়েছে। কারণ, কর্মশালাটির শিরোনাম ছিল ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’। সেখানে কমিশনের পক্ষ থেকে বিশিষ্টজনসহ আমার মতো অবিশিষ্টজনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।


দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন–সংক্রান্ত বাস্তবতা কী; সেই বাস্তবতায় সরকার, অংশীদার রাজনৈতিক দলগুলো ও নির্বাচন কমিশনের কাছে যুক্তিগ্রাহ্য প্রত্যাশা কী হতে পারে এবং নির্বাচন ইস্যুতে ইসির করণীয় কী—এসব নিয়ে সেখানে ইসি বিশিষ্টজনের অভিমত চেয়েছিল। আন্দাজ করি, সেখানে অভিমতের প্রাচুর্য প্রত্যাশার চেয়ে কিছু কম ছিল না।


কর্মশালার শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তাঁর অতি সংক্ষিপ্ত স্বাগত বক্তব্যে জানিয়ে দেন, ইসি বিশিষ্টজনের অভিমত শুনতে চায়। ফলে নির্বাচন কমিশনাররা এই আলোচনায় বক্তব্য রাখবেন না, তাঁরা শুধু শুনে যাবেন। তাঁর এই কথায় ইসির সদিচ্ছার প্রতিফলন ছিল। কর্মশালায় খুবই যৌক্তিক কারণে প্রায় সবাই ‘বাস্তবতা’ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ফলে সেখানে ‘প্রত্যাশা’ ঠাঁই পেয়েছে সামান্যই।


বাস্তবতা-১: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের ভাষায়, ‘২০১৪ সালে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে বিরোধী দল ও জোট নির্বাচনে যাওয়ার পরেও ভোটার ও প্রার্থীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ অনুপস্থিত ছিল। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই ভোট হয়ে গেছে। অনেকের মতে, আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে।’


কিন্তু বিগত রকিবউদ্দীন এবং নূরুল হুদার কমিশন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের একের পর এক ভোটারহীন নির্বাচনকে নির্বিকারভাবে ‘সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট হয়েছে’ সার্টিফিকেট দিয়ে গেছে। এ নিয়ে লোকে যথেষ্ট হাসাহাসি করেছে এবং দিন শেষে ক্ষুব্ধ হয়েছে। বর্তমান কমিশন যে সেই দুটি কমিশন থেকে আলাদা কিছু, তা প্রমাণ করার মতো বড় নজির আমাদের সামনে এখনো আসেনি।


বাস্তবতা-২: বড় বিরোধী দলগুলো বলছে, সরকার গদিতে থাকা অবস্থায় ভোট হলে তারা তাতে যাবে না। তারা নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে ভোট চায়। নয়তো তারা ভোট প্রতিহত করতে চেয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে রাজি না। তারা সংবিধান মেনে গদিতে থেকেই ভোট দিতে চায়। গতবারের মতো তারা ‘ভোটার যাক, ভোট থাক’ নীতির পথেই হাঁটছে। ফলে একটা সংঘাতের পূর্বাভাস স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও