আওয়ামী লীগ, বিএনপি না তৃতীয় শক্তি?

সমকাল এম এম আকাশ প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬

বাংলাদেশে বিদ্যমান দ্বিদলীয় বুর্জোয়া গণতন্ত্রের ১৯৯০-উত্তর দশকগুলোতে কিছুদিন আপাত গণতন্ত্র ছিল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের ‘মিউজিক্যাল চেয়ার গণতন্ত্র’ অবশ্য বেশিদিন টেকসই হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই শাসন ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব চরম বৈরিতায় পরিণত হয় এবং নির্বাচনে এক দল জিতলে অপর দলকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করার পথে অগ্রসর হতে শুরু করে। ফলে বুর্জোয়া গণতন্ত্রের সিস্টেমটি ‘উইনার টেকস অল’ ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। যেটা এখন শাসন ক্ষমতায় নানাবিধ জটিলতা, ভারসাম্যহীনতা, অস্থিতিশীলতা ও গোপন আপসেরও জন্ম দিয়েছে।


উদ্ভূত পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘ব্যক্তিগত বৈরিতা ফ্যাক্টর’। আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা জানেন বা বিশ্বাস করেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে সুসম্পর্কিত। শেখ হাসিনা এটাও জানেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যারা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল, তাদের সঙ্গেও বিএনপির অঙ্গাঙ্গী যোগাযোগ রয়েছে। বিএনপি সেটা অস্বীকার করলেও বাস্তবে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ২১ আগস্ট মামলায় অভিযুক্ত।


অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব আরেকটি কৌশল নিয়েছে: ইসলামপন্থি দলগুলোকে বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিজের পক্ষে নিয়ে আসা। ফলে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রশ্নে দলটির দৃশ্যমান অবস্থানে দোদুল্যমানতার সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতা প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কমে গেছে। উভয় দলের সাধারণ সমর্থকের মধ্যে অন্যান্য বিষয়েও পার্থক্য বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে।


দুই দলের সাধারণ সমর্থকের মধ্যে এখন দৃশ্যমান পার্থক্য হলো, এক দল শুধু বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নাম নেবে এবং অপর দল শুধু জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম নেবে। আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মনে করেন, অতীতে আদর্শের ছিটেফোঁটা যা-ই থাকুক; বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বন্দ্ব দুটি ‘টোটেম’ নিয়ে দুটি উপজাতির ঝগড়ায় পরিণত হয়েছে। এটা এত বিস্তৃত আকার ধারণ করেছে যে, রাজনৈতিক যুদ্ধে জয়-পরাজয় দুটি দলের জন্যই বর্তমানে জীবন-মরণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাই সহজে কোনো রাজনৈতিক মীমাংসা হবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও