বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দরকার নেই
অবশ্যই আমি ছাত্ররাজনীতির পক্ষে। ছাত্রজীবনে যেহেতু সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, সেই কারণে কোনোভাবেই ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে নই। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের উজ্জ্বলতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির নামে যা হচ্ছে, তাতে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি না থাকাই ভালো। কষ্ট হলেও এই বাস্তবতা স্বীকার করা ছাড়া, অন্য কোনো পথ নেই। এখন রাজনীতির খোলনলচে অনেক বদলে গেছে।
অস্বীকারের উপায় নেই, বাঙালির যত অর্জন তার সবই শুরু হয়েছে ছাত্ররাজনীতির হাত ধরে। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সংগ্রাম এবং অর্জনের যে ইতিহাস, আমরা তার জন্য গৌরব বোধ করি। কিন্তু এখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো রাজনীতি চাচ্ছি না, তার পক্ষে যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ষাটের দশকে ছাত্ররাজনীতির যে আদর্শ, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং যে ধরনের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছাত্ররা গর্জে উঠেছিল, বর্তমানে কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই। এর বাইরে বিবেচনায় নিতে হবে, বুয়েটের শিক্ষাব্যবস্থা এবং ছাত্ররাজনীতির নামে যা হচ্ছে, সে বিষয়ে কথা বলা। চিন্তা করতে হবে ছাত্ররা রাজনীতি করবে কোন বিষয়ে, কেন করবে, কার জন্য করবে? এ বিষয়গুলো স্পষ্ট হলে মনে হয় কোনো বিতর্ক থাকবে না।