পাপের বোঝার ভার যে দুঃসহ!

দেশ রূপান্তর অজয় দাশগুপ্ত প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৪২

একুশে আগস্টের রাজনৈতিক পরিণতি কী এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল এক আলোচনায়। কী চেয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের হোতারা? বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য জনসমাবেশে একের পর ভয়ংকর ধ্বংস ক্ষমতার গ্রেনেড হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল নির্দিষ্ট সভাপতি শেখ হাসিনাসহ গোটা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে প্রাণে মেরে ফেলা। উদ্দেশ্য স্পষ্ট ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার চারজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্যার পর শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে যে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠেছিল, তাদের একযোগে নির্মূল করা। এ নেতৃত্ব যে প্রচন্ড ক্ষমতা রাখে, সেটা স্পষ্ট হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয়ী করিয়েছিলেন বিএনপিকে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত দুই খুনিকেও তিনি সংসদ সদস্যপদ পাইয়ে দেন। কিন্তু শেখ হাসিনা তার ‘নতুন আওয়ামী লীগকে’ নিয়ে রুখে দাঁড়ান। তিনি তখন সংসদ সদস্য পদে নেই। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতাও নেই। কিন্তু তার আহ্বানে সচিবালয়ের সচিব থেকে পিওন-দারোয়ান পর্যন্ত সবাই রাজপথে নেমে এসে জনতার মঞ্চের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করে। অসহযোগ আন্দোলনে চট্টগ্রাম পর্যন্ত অচল হয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে।


২০০১ সালের ১ অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ১৫ জুলাই শান্তিপূর্ণভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে এটাই ছিল শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র নজির। কিন্তু বিচারপতি লতিফুর রহমানের ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ (এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এস সাইদ) শপথ লঙ্ঘন করে। তাদের আচরণ ছিল দারুণভাবে পক্ষপাতমূলক। নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী জোটকে জয়ী করানোর ব্লু-প্রিন্ট বাস্তবায়নে এ সরকার সহায়ক ভূমিকা নেয়। কিন্তু শেখ হাসিনা সংসদে মাত্র ৬০টির মতো আসন নিয়েও সংসদ ও রাজপথের আন্দোলন সমন্বিতভাবে পরিচালনা করতে পারেন। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্ব বুঝতে পারে সামনে বিপদ আসছে। শেখ হাসিনাকে মোকাবিলার জন্য তারা ২১ আগস্ট ‘মহাপ্রলয়’ ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য একটি কোয়ালিশনও গড়ে তোলে।



২১ আগস্টের ‘মহাপ্রলয়’ ঘটানোর জন্য ঘোট পাকিয়েছিল কারা? বিবিসির সাংবাদিক আকবর হোসেন ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর জানিয়েছেন, আদালত ‘ঝঃধঃব-নধপশবফ পৎরসব’-এর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার জন্য যাদের চিহ্নিত করেছেন, তাদের মধ্যে ছিলেন হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ২১ আগস্টের ঘটনার সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি এবং পরে এ বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন, সাবেক সেনা অফিসার লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ও তার ভাই তাজুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য ও ১৯৭১ সালে কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, হরকাতুল জেহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, ডিজিএফআই প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইয়ের সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে নৌবাহিনীর সাবেক অফিসার লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, গ্রেনেড হামলার সময় পুলিশ বাহিনীর প্রধান শহুদুল হক, গ্রেনেড হামলার সময় ঢাকার পুলিশ প্রধান আশরাফুল হুদাসহ প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও