শিশুর জ্বরজনিত খিঁচুনি হলে কী করবেন

সমকাল প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১১:০১

শিশুরা প্রায়ই জ্বরে আক্রান্ত হয়। কোনো কোনো শিশুর ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে খিঁচুনি হতে পারে, যা সাধারণত জ্বরজনিত খিঁচুনি বা ফেব্রাইল কনভালশন নামে পরিচিত। কাদের হয়? - সাধারণত তিন মাস থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের জ্বরের প্রথম দিন এই খিঁচুনি হতে পারে। - টিকা দেওয়ার পর জ্বর এলে খিঁচুনির আশঙ্কা বেড়ে যায়। - পরিবারের মা-বাবা, ভাইবোন অথবা নিকটাত্মীয় কারও জ্বরজনিত খিঁচুনির ইতিহাস থাকলে এ ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। - শিশুর প্রথমবার জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি হলে পরবর্তী সময়ে প্রতিবার জ্বর হলে খিঁচুনি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। লক্ষণ কী? -হঠাৎ করে শিশুর হাত-পা বাঁকা হয়ে যাওয়া, চোখ উল্টে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়া এবং মুখ থেকে ফেনা আসতে পারে। -সাধারণত একবারই খিঁচুনি হয় এবং কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে। -খিঁচুনির পর শিশু আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় অথবা ঘুমিয়ে যেতে পারে। -খিঁচুনির পর শরীরের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশ বা শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয় না।


খিঁচুনি হলে করণীয় কী?


-সবচেয়ে জরুরি বিষয়, আতঙ্কিত হওয়া যাবে না।


-শিশুকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আঁটসাঁট পোশাক থাকলে খুলে দিতে হবে।


-একপাশে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে। দাঁতের ফাঁকে চামচ অথবা অন্য কোনো কিছু দেওয়া যাবে না।


- শিশুর মুখে কোনো খাবার বা ওষুধ দেওয়া যাবে না।


-দ্রুত জ্বর কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্যারাসিটামল-সাপোজিটরি বয়স ও ওজন অনুযায়ী দেওয়া যেতে পারে।


-কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি জ্বর হলে মাথায় পানি দিতে হবে। কখন হাসপাতালে নেবেন?


-খিঁচুনি অনেকক্ষণ স্থায়ী হলে অথবা একই দিনে বারবার হলে কিংবা এটা যদি শিশুর প্রথম জ্বরজনিত খিঁচুনি হয়, তবে অতিদ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও