হামলার আগে বৈঠক হয় উপমন্ত্রী পিন্টুর বাসায়
২০০৭ সালের ১ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মুফতি হান্নান।
মুফতি আবদুল হান্নান
পিতা: মৃত মুন্সী নূর মোহাম্মদ মিয়া
গ্রাম: হিরন, ডাকঘর: হিরন
উপজেলা: কোটালীপাড়া
জেলা: গোপালগঞ্জ
আমি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি করছি যে, আমি ১৯৭৯ সালে গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা থেকে কোরআন হেফজ শেষ করি। একই বছর বরিশাল জেলার শর্শিনা মাদ্রাসায় ছয় মাস পর্যন্ত পড়াশোনা করি। তারপর একই বছর আমি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করি এবং টাইটেল পাস করি।
এরপর একই সময়ে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে এমএ সম্পন্ন করি। ওই বছরই আমি দেশে ফিরি। একই বছর পাকিস্তানের করাচির জামেয়া বিন নূরিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে মুফতি কোর্স সম্পন্ন করি।
ওই বছরই ১৯৭৯ সালে রমজানের ছুটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুজাহিদদের পক্ষে আফগানিস্তানের খোস্ত শহরে প্রথমে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং ১৫ দিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করাকালে আমার বাঁ হাতে মিসাইলের আঘাতে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হই। ওই অবস্থায় আমাকে পেশোয়ার কুয়েত আল হেলাল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা শেষে আবার করাচি গিয়ে আমি আমার শিক্ষা কোর্স সম্পন্ন করি।
১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে আমি দেশে ফিরি এবং কোটালীপাড়ায় আদর্শ ক্যাডেট মাদ্রাসা স্থাপন করি। একই সঙ্গে আল ফারুক ইসলামিক ফাউন্ডেশন নামে একটি জনসেবামূলক এনজিও প্রতিষ্ঠা করি।
১৯৯৪ সালে হরকাতুল জিহাদ ইসলামির আমির মুফতি শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি মুফতি আবদুল হাই ও আবদুর রউফ গওহরডাঙা মাদ্রাসায় আসেন। তাঁরা সাংগঠনিক সভা করেন। তখন তাঁরা আমাকেও ডাকেন। তখন তাঁরা একটি জেলা কমিটি গঠন করেন। আমাকে থানা কমিটির প্রচার সম্পাদক করা হয়।