সহনশীল ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি গড়ে উঠুক

বণিক বার্তা সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:০২

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে টালবাহানা শুরু করে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। জনগণের ভোটে নির্বাচিত দলের কাছে ক্ষমতা না দিয়ে নিজেরা কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা চালায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ স্পষ্ট করে দেয়, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। এ সংগ্রামে অংশ নিয়ে নিজেদের জন্য রাষ্ট্র নির্মাণ করে সর্বস্তরের মানুষ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া চলাকালেই সপরিবার খুন হন বঙ্গবন্ধু। হত্যার এ রাজনীতি বাংলাদেশে দুঃখজনক এক অধ্যায়ের সূচনা করে, যেখান থেকে বাংলাদেশ এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। 


অন্তহীন শোক নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় ফের হাজির হয়েছে রক্তস্নাত ১৫ আগস্ট। মধ্য আগস্টের কালরাতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ আর সেনাবাহিনীর দলছুট একটি গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন আরো প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল। ঘাতকের বুলেটে মৃত্যু হয় বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকের। 


নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ও ৩০ লাখ শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। ভারতে আশ্রয় নেয়া এক কোটি শরণার্থী ফিরিয়ে আনা, শহীদ পরিবার ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন, সেই সঙ্গে ১৯৭২ সালের ভয়াবহ খরাসহ নানা দুর্যোগ ও বিপত্তি সামাল দিয়ে দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন বঙ্গবন্ধু। এসব বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মাত্র তিন বছরে (১৯৭২-৭৫) যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, তা এক কথায় বিস্ময়কর। নির্যাতিত-নিপীড়িত পরাধীন বাঙালি জাতি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। মাত্র তিন বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সার্বিক, টেকসই উন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর একটি আধুনিক উন্নত রাষ্ট্র গঠনে অনেক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। একটি সুখী-সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, তার শক্ত ভিত তিনি নিজেই স্থাপন করেন।


বঙ্গবন্ধু নেই। কিন্তু তার আদর্শ আছে, তার স্বপ্ন-প্রত্যাশা আছে, আছে তার প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বলা বাহুল্য, তার নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন স্বদেশের অধিকারী হয়েছি বটে, তবে এখনো তার স্বপ্নের সোনার বাংলা, শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য-সংহতিও নিশ্চিত করতে পারিনি, বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জাতির মধ্যে নানা বিভক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ইতিবাচক নয়। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও