কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘থ্রি ইডিয়টস’-এর র‍্যাঞ্চোর বাপদের বলছি

প্রথম আলো সারফুদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ০৭:০১

‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির একেবারে শেষভাগে গিয়ে জানা যায়, দিল্লির অভিজাত ইম্পেরিয়াল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং বা আইসিইতে পড়তে আসা তিন ‘ইডিয়টের’ মধ্যে যে সবচেয়ে মেধাবী, সেই রাঞ্ছোড় দাস শ্যামল দাস চাঁচড় ওরফে র‍্যাঞ্চো (এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান) আসলে র‍্যাঞ্চো নয়।


কাহিনিতে দেখা যায়, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফল ঘোষণার পর র‍্যাঞ্চো প্রথম হওয়ার পর কাউকে কিছু না বলে হোস্টেল ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। ১০ বছর পর অপর দুই ‘ইডিয়ট’, অর্থাৎ র‍্যাঞ্চোর দুই বন্ধু ফারহান ও রাজু জানতে পারে, র‍্যাঞ্চোর বাড়ি শিমলা। তারা ঠিকানা জোগাড় করে। দিল্লি থেকে তারা শিমলা যায়। ঠিকানামতো শিমলার একটি বিশাল প্রাসাদের মতো বাড়িতে গিয়ে তারা হাজির হয়। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারে, এত দিন ধরে কলেজে তারা যে র‍্যাঞ্চোকে চিনত, সে আসলে এই বাড়ির মালিকের ছেলে নয়। তার নামও র‍্যাঞ্চো নয়। সে এই বাড়ির চাকরের ছেলে। তাকে সবাই ‘ছোটে’ নামে চেনে। ছোটবেলায় ছোটের মা–বাবা দুজনই মারা যাওয়ায় বাড়ির মালিক এ বাড়িতেই তাকে রেখে দিয়েছিলেন।


ছোটের (আমির খান) মালিকের ছেলের নাম রাঞ্ছোড় দাস শ্যামল দাস চাঁচড় (এই নাম ব্যবহার করেই ছোটে আইসিইতে ভর্তি হয়েছিল); ডাকনাম র‍্যাঞ্চো। র‍্যাঞ্চো পড়াশোনায় ভালো ছিল না। অন্যদিকে ছোটে ছিল মেধাবী।


ছোটে বড় হওয়ার পর তার মালিক তাকে বলেন, ‘আমার ছেলে র‍্যাঞ্চো ইঞ্জিনিয়ার হোক, সেটা আমি চাই। কিন্তু তার পক্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়াই সম্ভব নয়। এখন সমাধান হলো, তুমি র‍্যাঞ্চোর পরিচয় নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে আইসিইতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে। তোমার সব খরচাপাতি আমি দেব। টাকা দিয়ে আমি আমার ছেলে র‍্যাঞ্চোর জন্য ডিগ্রিটা কিনব। তুমি পাবে শিক্ষা আর র‍্যাঞ্চো পাবে ডিগ্রি।’


মেডিকেল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসবিষয়ক খবর পড়ার পর টের পাচ্ছি, ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির সেই জমিদারের মতো হাজার হাজার জমিদার টাইপের বাপ–মা আমাদের দেশে কিলবিল করছেন। এই বাপ–মা তাঁদের ছেলেমেয়েদের ডিগ্রি কিনে দেওয়ার জন্য টাকার বস্তা নিয়ে বসে আছেন।


সে ক্ষেত্রে ছোটের (আমির খান) মতো ‘বদলি ছাত্র’ খোঁজার সময় তাঁদের নেই। তাঁদের কাজ সহজ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্টসংখ্যক ‘শিক্ষানুরাগী’ পাওয়া গেছে। এই শিক্ষানুরাগীদের হাতে কয়েক লাখ টাকা ধরিয়ে দিলে তাঁরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দিয়ে থাকেন।


সিআইডি সদর দপ্তরে সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া গত রোববার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ১৬ বছরে কমপক্ষে ১০ বার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও