রাজনীতিতে শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রসঙ্গ

www.ajkerpatrika.com মহিউদ্দিন খান মোহন প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ২০:০৫

১৯৬৯ সালে আমি ছিলাম পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে সময় স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান প্রকম্পিত। থানা সদর শ্রীনগরে ছিল আমাদের স্কুল। শ্রীনগর ও পার্শ্ববর্তী ষোলঘর হাইস্কুলের সিনিয়র ছাত্ররা মিছিল বের করতেন প্রায় প্রতিদিন।


তাঁদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আমরাও স্লোগান ধরতাম—‘আইয়ুব-মোনায়েম দুই ভাই, এক রশিতে ফাঁসি চাই’, ‘জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব’, ‘আসাদের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি।


আমার বড় ভাই গিয়াসউদ্দিন খান বাদল পূর্ব বাংলা ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর মুখেই প্রথম নাম শুনি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ও গরিব-দুঃখী, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের পক্ষে আপসহীন সংগ্রামের কাহিনি শুনতে শুনতে কখন যে তাঁর ভক্ত হয়ে গেলাম টেরই পাইনি। তিনিই ছিলেন আমার প্রথম রাজনৈতিক নেতা; যাঁকে আমি বলি আমার রাজনৈতিক পীর। শুধু আমি কেন, এ দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদের তিনি ছিলেন শিক্ষক-দীক্ষাগুরু। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মওলানা ভাসানীর সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য ছিলেন।


শেখ মুজিবও মওলানা হুজুরকে পিতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন। একপর্যায়ে দুজনের রাজনৈতিক পথচলা আলাদা হয়ে গেলেও সেই সম্পর্ক ছিল অক্ষুণ্ন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ সেই সময়ের বাঘা বাঘা নেতারা মওলানা ভাসানীকে সম্মান ও সমীহ করতেন।


সে সময় গোটা বাংলাদেশের গণমানুষের মধ্যে মওলানা ভাসানীর জনপ্রিয়তা ও প্রভাব ছিল ব্যাপক। যেকোনো রাজনৈতিক সংকটে ‘মওলানা হুজুর’ কী বলেন, তা শোনার বা জানার জন্য উৎসুক হয়ে থাকতেন সবাই। অথচ তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিল না।


অবিভক্ত ভারতের আসাম প্রদেশের দেওবন্দ মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর লেখাপড়া করা হয়নি। নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন নিপীড়িত মানুষের পক্ষে লড়াইয়ে। খেতাব পেয়েছেন ‘মজলুম জননেতা’র। মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধবাদীরা তাঁর অনেক কাজের বিরোধিতা করেছেন, সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কেউ তাঁকে অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত বলে গালি দেননি বা কটাক্ষ করেননি। কেননা, রাজনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির চেয়ে প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি ও দক্ষতার মূল্য অনেক বেশি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও