টেকসই উন্নয়ন অর্জনে দরকার সবার অংশগ্রহণ
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বে শ-খানেক দেশে প্রায় ৫০ কোটি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। তাদেরকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, উপজাতি, ইনডিজেনিয়াস পিপল, ট্রাইবাল অথবা নেটিভ পিপল ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়। অবশ্য এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে প্রায় প্রতিটি দেশে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে দিনাতিপাত করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠের সমাজে তাদের উপেক্ষা করা হয়। প্রতিনিয়ত তারা বঞ্চনা ও অবিচারের শিকার। এমনকি অনেক দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে উপেক্ষা করা হয় তাদের নাগরিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার। এ চিত্র উন্নত বিশ্ব বলে পরিচিত পশ্চিমা দেশ, এশিয়া, আমেরিকাসহ আফ্রিকায়ও একই রকম।
সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং তাদের অধিকারের বিষয় বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়। ১৯৮২ সালের ৯ আগস্ট জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত আদিবাসী জনগোষ্ঠীবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভায় তারিখটিকে সর্বপ্রথম প্রস্তাব করা হয়। এক যুগ পর ১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪৯/২১৪ প্রস্তাবনা অনুযায়ী ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
প্রতি বছরই জাতিসংঘ দিনটি সামনে রেখে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে। এ বছরের প্রতিপাদ্য– ‘আদিবাসী তারুণ্যই তাদের আত্মসংকল্পের কর্তা’ জলবায়ু পরিবর্তন ও সবুজায়নের পক্ষে লড়াই, ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং আন্তঃপ্রজন্মীয় সংযোগে আদিবাসী তরুণ-তরুণীদের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবারের প্রতিপাদ্যে।