কারও সুরক্ষারই ব্যবস্থা নেই, তবু এগোয় না
মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি জনগণের অধিকার। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত চিকিৎসক, নার্স ও সহায়ক কর্মীর জন্য নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিও দীর্ঘদিনের। কিন্তু স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০২৩-এর খসড়ায় কোনো অধিকার বা দাবিরই যথাযথ প্রতিফলন নেই। তা সত্ত্বেও প্রস্তাবিত আইনের পরিমার্জিত খসড়া প্রণয়নের জন্য গত ২৭ জুলাই যে সভা হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২৬ জুলাই সভাটি স্থগিত করে নোটিশ দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব উম্মে হাবিবার সই করা ওই নোটিশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর খসড়ার ওপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক মতামত প্রদান-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়’ কমিটির তৃতীয় সভার সুপারিশের আলোকে পরিমার্জিত খসড়া প্রণয়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে ২৭-০৭-২০২৩ তারিখ দুপুর ১২টায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সভাটি অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে।
খসড়া বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সামান্য অংশ নিবন্ধিত অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার আওতায় সেবা নেন। অধিকাংশ মানুষ এখনো নিয়ন্ত্রণহীন, নিবন্ধনহীন হাতুড়ে চিকিৎসা, কবিরাজি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে ঝাড়ফুঁকনির্ভর। অথচ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা একটি সামগ্রিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় আনা ছিল প্রত্যাশিত, যা খসড়ায় আইনে বিবেচিত হয়নি।