স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়

সমকাল প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩১

কোনো কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালি আটকে গেলে অথবা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে স্ট্রোক ঘটে। বেশির ভাগ স্ট্রোকই হচ্ছে রক্তনালি বন্ধজনিত।


হাত-পা এমনকি মুখ অসাড় হয়ে পড়া কিংবা প্যারালাইসিস হলো স্ট্রোকের মূল লক্ষণ। কথায় জড়তা কিংবা অন্যের কথা বুঝতে না পারা, হঠাৎ ঝাপসা দৃষ্টি, মাথাব্যথা, খিঁচুনি, অচেতনতা, খাবার গিলতে না পারা, প্রস্রাব-পায়খানার নিয়ন্ত্রণহীনতা ইত্যাদি লক্ষণ সচরাচর স্ট্রোকে দেখা যায়। ৮০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য। এর জন্য করণীয়–


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি চার থেকে ছয় গুণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তনালির পুরুত্ব বেড়ে যায়। রক্তনালির অভ্যন্তরে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য চর্বি জমতে থাকে। কখনও এসব চর্বির দলা ছুটে গিয়ে মস্তিষ্কের রক্তনালি আটকে দেয়। উচ্চ রক্তচাপের ফলে খুদে রক্তনালি দুর্বল থাকে। কখনও এগুলো ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক হতে পারে। রক্তচাপকে ১২০/৮০-এর মধ্যে রাখতে পারলে ভালো।


ধূমপান ছেড়ে দিন: ধূমপানের ফলে রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়; রক্ত চলাচলের পথ সরু হয়ে পড়ে। ফলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।


ডায়াবেটিস বাগে রাখুন: রক্তে মাত্রাতিরিক্ত চিনি রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। রক্তনালির অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধতে প্ররোচনা দেয়। স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। সে জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, রক্তে চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখুন।


ওজনের দিকে নজর দিন: স্থুলতা এবং এর সঙ্গে জড়িত জটিলতা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। আপনি যদি অধিক ওজনধারী হন, তবে ১০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমালে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।


খাদ্য তালিকা বদলে ফেলুন: কম চর্বি, বেশি ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। সম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। চর্বিযুক্ত মাংস, আইসক্রিম, বার্গার, চিজ, অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার পরিহার করুন। খাদ্য তালিকায় যোগ করুন ফলমূল এবং সবজি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও