আওয়ামী লীগ-বিএনপির ‘স্কুইড গেম’

www.kalbela.com সৈয়দ বোরহান কবীর প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৩, ১৩:১৯

২৮ জুলাই ভারতে মুক্তি পেয়েছে মসলা মুভি ‘রকি অউর রানি প্রেম কাহানি’। করণ জোহর পরিচালিত এ ছবিটি মুক্তির আগেই সাড়া ফেলেছে, একটি সংলাপের জন্য। ছবিতে অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। তার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়েছে ‘খেলা হবে’। পশ্চিম বাংলার গত নির্বাচনের কল্যাণে ‘খেলা হবে’ ভারতজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ওই নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জি এ শব্দ দুটিকে রীতিমতো টাইটেল স্লোগান বানিয়ে ফেলেন। ‘খেলা হবে’ আওয়াজ তুলে নির্বাচনী খেলায় তিনি বাজিমাত করেন। ‘রকি অউর রানি প্রেম কাহানি’ নিয়ে আলোচনার অন্যতম কারণ ‘খেলা হবে’। সেন্সরের কাঁচি থেকে শব্দযুগল বাদ পড়েছে কি না, তাই নিয়ে মিডিয়ায় হৈচৈ। বলিউড সিনেমার কল্যাণে এ ‘স্লোগান’ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে। সামনে নিশ্চয়ই হলিউডেও কোনো নির্মাতা ‘খেলা হবে’ জুড়ে দেবেন কারও সংলাপে। ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি মমতা ব্যানার্জির মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত। তবে এ স্লোগানটির আবিষ্কারক বাংলাদেশের আলোচিত রাজনীতিবিদ শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জের এ নেতাই প্রথম জামায়াত এবং বিএনপির বিরুদ্ধে ‘খেলা হবে’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে মমতা যেমন নির্বাচনে খেলা দেখিয়ে দিয়েছেন, শামীম ওসমানের ‘খেলা হবে’ শুধু হুঙ্কারই থেকেছে, বাস্তবে খেলা হয়নি। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভূমিধস বিজয়ের পর, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনপ্রিয় হয় ‘খেলা হবে’। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের নেতারাই ‘খেলা হবে’ বলে চ্যালেঞ্জ জুড়ে দেন, প্রতিপক্ষকে। ২৮ জুলাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যেমন এ স্লোগান দিয়ে বিএনপিকে সতর্ক করেছেন। তেমনি বিএনপিরও বেশ কজন নেতা আওয়ামী লীগের উদ্দেশে এ শব্দযুগল ব্যবহার করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, রাজনীতি যদি খেলা হয়, তাহলে এটা কোন খেলা? ভারতের কিংবদন্তি নেতা, প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু রাজনৈতিক কৌশলকে ‘দাবা’র চালের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনীতিকে ‘ডার্টি গেম’ (নোংরা খেলা) হিসেবে অভিহিত করেছেন। আফ্রিকার মুক্তির মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা অবশ্য রাজনীতিকে খেলার সঙ্গে তুলনার ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘রাজনীতি কোনো খেলা নয়, রাজনীতি মানুষের মুক্তির পথ।’


কিন্তু বাংলাদেশে প্রধান দুটি দল রাজনীতিকে রীতিমতো ‘খেলা’ বানিয়ে ফেলেছে। ২৯ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বিএনপির তাণ্ডব, আগুন সন্ত্রাসের পর জনমনে আতঙ্ক। খেলা কি তাহলে শুরু হয়ে গেল? আওয়ামী লীগ-বিএনপির খেলার নাম কী? প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল এখন যে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা ‘স্কুইড গেমে’র সঙ্গে তুলনীয়। বছর দুই আগে ‘স্কুইড গেম’ ‘নেটফ্লিক্স’ প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়ে সারা বিশ্বে হৈচৈ ফেলে। বিশ্বেও অন্যতম প্রশংসিত এবং জনপ্রিয় ‘ড্রামা সিরিয়াল’ হিসেবে পরিচিতি পায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্মিত এ সিরিজটি। মূলত এটি দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় শিশুতোষ খেলা। কিন্তু নির্মাতা এ খেলার এক ভয়ংকর রূপ দেন জনপ্রিয় সিরিজে। ‘স্কুইড গেম’-এর মূল উপজীব্য হলো ‘মরো অথবা মারো’। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যর্থ, হতাশ, ঋণগ্রস্ত কিছু মানুষের একত্রিত করা হয় একটি খেলার জন্য। মোট ৪৬৫ জন অংশ নেয়। যিনি চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হবেন, তিনি পাবেন বিপুল অর্থ (৪৫ বিলিয়ন ডলার)। এ বিপুল অর্থ তার সব ঋণ, হতাশা দূর করে দেবে। তিনি পাবেন নতুন জীবন। কিন্তু এ বিপুল অর্থ জয় করতে তাকে মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও