ডিবিপ্রধানের বাসার খাবার খেয়েছি : গয়েশ্বর

www.kalbela.com বিএনপি কার্যালয়, নয়া পল্টন প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২৩, ১৫:৫০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির কার্যালয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে যে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই খাবার খাইনি। ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের জন্য বাসা থেকে পাঠানো খাবারই খেয়েছি।


রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।


বিএনপি নেতা গয়েশ্বর জানান, ডিবি কার্যালয়ে তার জন্য যে খাবারের আয়োজন করা হয়, তা তার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী ছিল না। এ ছাড়া এই খাবার নিয়ে তার সন্দেহও ছিল। সে কারণে তিনি আর ওই খাবার খাননি।


তিনি আরও জানান, ডিবিপ্রধানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সৌজন্যতা রক্ষায় হারুনের জন্য বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবার থেকে ভাতসহ হালকা সবজি ও রুই মাছের একটি টুকরা খান তিনি।


গয়েশ্বর বলেন, ডিবিপ্রধান আমাকে অনুরোধ করেছেন, রুই মাছটি তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেহেতু ডিবিপ্রধান নিজেই খাবারটি খাচ্ছেন, তখন আমার মনে হলো- এটা যদি খাই, তাহলে সমস্যা হবে না।


তবে আপ্যায়ন করে সেটার ছবিসহ ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেন এই বিএনপি নেতা।


তিনি বলেন, যারা এ কাজটি করেছে এটি অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচায়ক। একধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক। এতে কি সরকার প্রমাণ করতে চায় যে আমরা হা-ভাতে? ভিক্ষা করে খাই? গ্রামের ভাষায় বলা হয় ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো তা ওই রকমই। আমার বাড়িতে তো বিভিন্ন সময় অনেক লোক খায়। এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। কিন্তু এই খাবারের ছবি উঠিয়ে কি আমি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেব? এটা কি আমার জন্য ভালো হবে?


গয়েশ্বর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সরকারের কোনো প্রলোভন গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না। সরকারের কাছে এত টাকা নেই যে, গয়েশ্বরকে কিনতে পারে। সরকার গ্রেপ্তার করতে পারে, এমনকি প্রাণও নিতে পারে- এই শক্তি সরকারের রয়েছে। কিন্তু গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও