রিজার্ভের তিনটা হিসাব কেন

দেশ রূপান্তর বদরুল হাসান প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৫

এত দিন বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার একটা হিসাব দিয়ে আসছিল। এখন থেকে দেবে তিনটা; একটি সনাতনী হিসাব পদ্ধতিতে করা, দ্বিতীয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিধান মতে করা, আর তৃতীয়টি নিট, যেটি সাধারণ্যে প্রকাশ্য নয়। আইএমএফের কথা হলো, যে গরু গোয়ালে নেই, তার হিসাব কেতাবে অন্তর্ভুক্ত করে স্থিতির স্বাস্থ্যে স্ফীতি আনা চলবে না। ঋণদাতা সংস্থাটির ব্যবস্থাপত্র হলো রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলসহ (ইডিএফ) অন্যান্য তহবিলে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্থানান্তরিত রয়েছে, অর্থাৎ যে পরিমাণ মুদ্রা চাহিবামাত্র লভ্য হবে না, তা স্থিতি থেকে বাদ দিয়ে হিসাব করতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণে প্রতিষ্ঠানটি ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা মজুদের তল-সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতি ২৩.৫৬ বিলিয়ন ডলার, যদিও আমাদের আগের পদ্ধতি অনুসারে ওটার মজুদ ২৯.৯২ বিলিয়ন। প্রথমোক্ত দুটোই গ্রস হিসাব; রিজার্ভ সংশ্লিষ্ট বকেয়া দায় এবং বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য ঋণের সুদাসল বাদ দেওয়া হলে নিট উপাত্ত পাওয়া যাবে, সেটা হয়তো আরও দুই তিন বিলিয়ন কম হতে পারে। কিন্তু গভর্নর বাহাদুরের কথা হলো যে, বিশ্বের কোনো দেশই নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করে না। কাজেই তিনিও সেটা করবেন না। ২০২১ সালে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সেই মজুদের অবনমন ঘটে সেটা এখন হয়ে গেছে ২৩.৫৬ বিলিয়ন। অনেকেই আতঙ্কিত বোধ করছেন। অর্থনীতিবিদরা নানা রকম কথাবার্তা বলছেন। আমি খাদ্যশস্যের মতো স্পর্শকাতর পণ্যের মজুদ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছি, সেই আলোকে কিছু কথা বলা প্রাসঙ্গিক মনে করছি।


খাদ্যনীতিতে ৩০ জুন তারিখে খাদ্যশস্যের অন্যূন ১০ লাখ মেট্রিক টন মজুদ নির্বাহ করার বাধ্যবাধকতা আছে। দেশের প্রধান ফসল বোরো কাটার ভরা মৌসুমে এই মজুদের আবশ্যকতা অনেকের কাছেই খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। তার ওপর ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া ও সরকারের নীতি সহায়তায় খাদ্যশস্যের বাড়ন্ত ফলন থেকে জুন মাসে এই পরিমাণ মজুদ গড়া ছিল অত্যন্ত সহজ একটা কাজ। এর মধ্যে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কায় ২৫ হাজার টন চাল রপ্তানিও করা হয়েছিল। তখন খাদ্যশস্য, বিশেষ করে চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে অতিক্রম করে ফেলেছি এমন একটা উন্নাসিকতা আমাদের পেয়ে বসেছিল। এরপর ২০১৭ সালের মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কায় ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানির প্রস্তাব আসে। কিন্তু খাদ্য অধিদপ্তর থেকে মে-জুন মাসে সংগ্রহতব্য বোরো ফসলের সংগ্রহ সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে ঐ সময় চাল রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া সমীচীন হবে না মর্মে জানানো হয়। এতে মন্ত্রণালয় তখন খাদ্য অধিদপ্তরের ওপর ভীষণ নাখোশ হয়। এপ্রিল মাসে সিলেটে অকাল বন্যার প্রভাবে ঐ বছর চালের দাম এত বেড়ে যায় যে, ৩০ জুন ত্রাণ খাতের মালামাল বিলি বণ্টনের পর চালের মজুদ দাঁড়ায় মাত্র ১,৩৫,০০০ টন; দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য তা ছিল এক অশনি সংকেত। ঐ বছর শ্রীলঙ্কায় চাল রপ্তানি করা হলে তখন বিরোধী পক্ষ নিশ্চয়ই আমাদের কাণ্ডকারখানা চীনের এৎবধঃ খবধঢ় ঋড়ৎধিৎফ কালের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ পেত। চীনে তখন একদিকে খাদ্যশস্য রপ্তানি চলছিল, আবার অন্য দিকে খাদ্যাভাবে মানুষ মৃত্যুবরণ করছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও