আমাদের সায়ীদ স্যার…

ডেইলি স্টার শুভ কিবরিয়া প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩০

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাকে জানতাম। চিনতাম না। চেনার অবকাশ ছিল না। কেননা তিনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন। আমি পড়েছি সুদূর মফস্বলে। পত্রপত্রিকায় তার লেখা বা বক্তৃতা দেখতাম, পড়তাম। টেলিভিশনে তার কথা শুনেছি। সেটাও তার প্রতি একটা বড় আকর্ষণ।


দেশে সামান্য যে কজন মানুষ চিরায়ত আদর্শ আর মূল্যবোধের কথা বলতেন, সায়ীদ স্যার তাদের অন্যতম। ফলে কথা শুনে, কিংবা লেখা পড়ে তার প্রতি একধরণের গুণমুগ্ধতা কাজ করতো। ততদিনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রও দেশের নামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। সেটাও তার প্রতি আকর্ষণের একটা বড় উপলক্ষ।


প্রকৌশলবিদ্যায় গ্রাজুয়েশন শেষ করে তখন বিদ্যুৎ বিভাগের একটি শাখায় কাজ করছি পূর্ণোদ্যমে। কিছুকাল পর বুঝতে পারলাম, আমি যে মানসিকতা লালন করি সেটা নিয়ে চাকরি করা যাবে না। এখন বুঝি, খুব একটা কাঁচা আবেগ নিয়ে জীবন শুরু করেছিলাম। আমার কাছে তখন অর্থনৈতিক সততা আদর্শবাদের একমাত্র পথ হিসেবে প্রতিভাত। ফলে সবকিছু একটা সরল রেখার মতো দেখি। এ প্রবণতার কারণে চাকরিতে নানারকম সংকট তৈরি হতে লাগল। চাকরি যতটা মন দিয়ে করি, সংঘাতে জড়িয়ে পড়ি তারচেয়ে অনেক বেশি। একসময় চাকরি ছাড়ার চেষ্টা করতে লাগলাম প্রাণপণে।


সবসময় ভাবতাম, জীবনে আরও অর্থবহ কাজ করা দরকার। যা করছি সেটা দিনগত পাপক্ষয় বলে মনে হতো সারাক্ষণ। নানারকম চেষ্টা যখন ব্যর্থ হতে লাগল, তখন একটা ছেলেমানুষি কাজ করলাম। নিজের কাঁচা আবেগ আর সরল স্বপ্ন নিয়ে আমি যা করতে পারলে আনন্দিত হবো, তার বয়ান দিয়ে চিঠি লিখলাম অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ—৩ জন খ্যাতিমান, স্বপ্ন দেখানো মানুষের কাছে। নব্বইয়ের দশকে এই ৩ জন তরুণদের কাছে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হিসেবে দারুণভাবে প্রতিভাত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও