কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউকে আমরা কী ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচন দেখালাম

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২৩, ০৭:০২

বাংলাদেশে উপনির্বাচনের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। পাকিস্তান আমলের শুরুতে এক উপনির্বাচনে মুসলিম লীগের জাঁদরেল প্রার্থীকে তরুণ শামসুল হক হারিয়ে দিলে মুসলিম লীগ সরকার আর ওমুখী হয়নি। ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ৩৪টি আসন খালি হলেও আর কোনো উপনির্বাচন করতে তারা সাহস পায়নি। এর ফল হলো চুয়ান্নর নির্বাচনে মুসলিম লীগ বাংলা থেকে চিরতরে উচ্ছেদ হয়ে গেল।


বাংলাদেশ আমলেও উপনির্বাচন নিয়ে কাণ্ড কম হয়নি। আজ যে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যুযুধান অবস্থা, তার সূচনা ১৯৯৪ সালের মাগুরা উপনির্বাচন দিয়ে। এ নির্বাচনে কারচুপি ও জবরদখল না হলে বিরোধী প্রার্থী জিতে যেতেন। তাতে বিএনপি হয়তো একটি আসন হারাত। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে দলটি বিপর্যস্ত হতো না। বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক দাবিও পালে বাতাস পেত না। এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আমলে উপনির্বাচনে ধরেই নেওয়া হতো সরকারি দলের প্রার্থী জিতে যাবেন, বিরোধী দলের প্রার্থী দিয়ে কোনো লাভ নেই। একাধিকবার ক্ষমতার পালাবদল হলেও সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি ক্ষমতাসীন দল ও সরকার বহন করে চলেছে।


এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে উপনির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার—কারও দেখা পাওয়া দুর্লভ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে যে উপনির্বাচন হয়ে গেল, তাতে ভোটকেন্দ্রের খবরের চেয়ে বাইরের খবরই প্রাধান্য পেয়েছে। আর খবরটি হলো নির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে মেরে সড়কে শুইয়ে দিয়েছেন নৌকার ব্যাজধারীরা। নৌকার ব্যাজ নিশ্চয়ই বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা বহন করেননি। তাঁদের ক্রোধের কারণ, হিরো আলম নামের একজন টিকটকার কেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন? তাঁর মতো লোক জাতীয় সংসদে গেলে নৌকা ব্যাজধারীদের মান-ইজ্জত থাকে না! এ কারণে তাঁরা হিরো আলমকে ধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন।


হিরো আলম এর আগেও উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। সেই সময় নৌকা সমর্থকদের হাত থেকে রক্ষা পেলেও এবারে পারেননি। দুই স্থানেই তিনি নিকটতম প্রার্থী। এত সব নিবন্ধিত দল, যারা তাঁর ধারেকাছেও আসেনি। ঢাকা-১৭ আসনে নিবন্ধিত একটি দল পেয়েছে ৭৫ ভোট। হিরো আলমের ঘটনাটি যে দেশের ভেতরেই আলোচনা হয়েছে, তা-ই নয়; দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও এর প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও