রুপিতে বাণিজ্যের ইতি-নেতি

সমকাল অধ্যাপক আব্দুল বায়েস প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:৩১

বাংলাদেশ বর্তমানে যে কয়টি কারণে ক্রান্তিকাল পার করছে, তার অন্যতম ডলারের ব্যাপক ঘাটতি। জোগানের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি এবং তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে; আমদানি কিংবা বৈদেশিক ধারদেনা মেটাতে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও ভারত ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু করল। আপাতত রুপিতে শুরু হলেও উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমে এলে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায়ও বাণিজ্য হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান রুপিতে লেনদেনের সম্ভাব্য সুফল নিয়ে কিছু কথা বলেছেন, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। তাঁর মতে, এ লেনদেনের ফলে প্রথমত, সাম্প্রতিক সময়ে ডলার সংকটের শিকার উভয় দেশ লাভবান হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের দু’বার মুদ্রা বিনিময় করার খরচ কমবে। তৃতীয়ত, লেনদেন নিষ্পত্তিতে সময় বাঁচবে। চতুর্থত, অন্য উদ্বৃত্ত মুদ্রা রুপিতে রূপান্তর করে লেনদেন নিষ্পত্তিতে ব্যবহার করা যাবে।


সাধারণ মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ভারত থেকে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আমদানির বিল মেটাতে প্রয়োজনীয় রুপি আমরা কোথায় পাব? ভারতে আমাদের রপ্তানি মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের মতো। এ প্রশ্নের উত্তরে কেউ কেউ বলছেন, দুই দেশের মধ্যে সরকারিভাবে রুপি-টাকা বিনিময় হলে বাংলাদেশ কিছুটা লাভবান হতে পারে।


কিন্তু এ বিষয়ে সেলিম রায়হানের পর্যবেক্ষণ হলো– প্রথমত, টাকায় লেনদেনের পরিমাণ স্বল্প হবে। কারণ ভারত রপ্তানি বাবদ বাংলাদেশের পাওনা মেটানোর পর অতিরিক্ত টাকার মজুত অন্য কোথাও কাজে লাগাতে পারবে না। যদিও তিনি মনে করেন, বিনিয়োগ ও ঋণকে এখানে সম্পৃক্ত করলে টাকা-রুপির বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ করা যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও