জনপ্রত্যাশাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন উজরা জেয়া

সমকাল এম হুমায়ুন কবির প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৩, ০৩:০১

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সফরটির গুরুত্ব রয়েছে বেশ কিছু কারণে। বাংলাদেশে এখন যে অস্বাভাবিক একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছে, বিশেষত নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে, তা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা, শ্রম আইন– এসব বিষয়ে যেমন অভ্যন্তরীণ আলোচনা আছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের আলোচনায়ও স্থান পেয়েছে। মোটা দাগে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে এখানে যে সংকট বিরাজমান, সেসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরেকবার তিনি পরিষ্কার করে গেলেন।


উজরা জেয়া স্পষ্ট করে বলেছেন, এখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দরকার, সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা দরকার, আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুসরণ করা দরকার; নাগরিকের অধিকার যাতে রক্ষিত হয়, নাগরিকের গণতান্ত্রিক চর্চা যাতে ব্যাহত না হয়। সর্বোপরি একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিতে করণীয়তে তিনি জোর দিয়েছেন। কোন পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছিল, ভিসা নীতি দেওয়া হয়েছে– এসব বিষয় একই অবস্থার নিরিখে মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেছেন, আমরা চাই এসবের মধ্য দিয়ে এখানকার রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ-আলোচনা অর্থাৎ সংলাপের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধানে মনোযোগী হোক। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ বছরের সম্পর্ক। আজ থেকে আরও ১০-১৫ বছর পরে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে তারা যেখানে, যেভাবে দেখতে চায়; তা এসব আলোচনার মধ্যে ফুটে উঠেছে।


যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। তারাও আমাদের এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী মনে করে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে– এই বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য। রোহিঙ্গা ইস্যুটি যেভাবে বাংলাদেশের জন্য একটি ঝুঁকি হয়ে পড়ছে দিন দিন, সে ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বক্তব্যকেই অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।


এ অঞ্চলে অর্থাৎ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মনে করে, তা আমাদের এখানে কম আলোচিত হলেও, তারা কিন্তু গুরুত্ব দিয়েই দেখতে চায়। এ অঞ্চলে চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তানের পরেই আমরা জনসংখ্যায় এগিয়ে আছি। জনসংখ্যা একটি সম্পদ। আবার আমাদের অর্থনীতি এখন বর্ধিষ্ণু। এটাও বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখার কারণ। এই অর্থনীতির চালকের আসনে রয়েছে সাধারণ মানুষ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও