দুর্নীতি ও স্বজন তোষণমূলক পুঁজিবাদের দুনিয়া
এমন চিত্রকল্পটা চিন্তা করুন, রাজনীতির মাঠে অপরিচিত এক চরিত্র গুরুত্বপূর্ণ কোনো নির্বাচন জিতে নিলেন। এসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলেন। একেবারে সহিহ নিয়ত থাকলেও মসনদে বসার পর হয়তো তার ফোকাস পরিবর্তন হয়ে গেল। ক্ষমতা সুসংহত করতে তিনি বরং সরকার সমালোচক রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-নিপীড়নে নেমে গেলেন। নিজস্ব মিত্র ও নিজ রাজনৈতিক বলয়ে বন্দুক না দাগিয়ে তিনি বরং বিরোধী শিবিরে তাক করলেন। এ রকম কর্মসূচির অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি হিসেবেই জন্ম নেয় স্বজন তোষণমূলক পুঁজিবাদ বা ক্রোনি ক্যাপিটালিজম। দুর্নীতির বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হওয়ার ভান করলেও বন্ধুদের সুরক্ষার মাধ্যমে, মিত্রদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিজের ক্ষমতা সুসংহতের চেষ্টা করেন ওই নেতা। এতে যা হয়, দুর্নীতি না কমে বরং বাড়তে থাকে।
উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বে নিয়মিতই এ গল্পের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। স্বভাবতই এ ধরনের পালাবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বিশেষ ধরনের ওই নেতার দেশের ওপর। কিন্তু আজকের বিশ্বায়নের যুগে স্বজন তোষণমূলক পুঁজিবাদের প্রভাব প্রায়ই জাতীয় সীমানার গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- দূর্নীতি
- পুঁজিবাদী
- স্বজনপ্রীতি
- তোষামোদী