তিনটি নদ–নদী ভরাট, জলাবদ্ধতার শঙ্কা
যশোরের কেশবপুরে তিনটি নদ-নদী পলি পড়ে ভরাট হয়ে মৃত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো এখন কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। চলতি বর্ষায় যেকোনো সময় নদীর পানি উপচে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কেশবপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরের বুক চিরে হরিহর ও কপোতাক্ষ নদ এবং বুড়িভদ্রা ও আপারভদ্রা নদী বয়ে গেছে। এর মধ্যে কপোতাক্ষ নদ প্রবহমান রয়েছে। কেশবপুরে শহরের পূর্ব পাশ দিয়ে হরিহর নদ আর পশ্চিম পাশ দিয়ে বুড়িভদ্রা নদী প্রবাহিত হয়েছে। নদ-নদী দুটি এখন পলি পড়ে ভরাট হয়ে প্রায় মৃত অবস্থা। একই অবস্থা আপারভদ্রা নদীরও। হরিহর ও বুড়িভদ্রা এখন পুরোটাই কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
হরিহর নদ পলি পড়ে ভরাট হওয়ার কারণে ২০১৭ সালে কেশবপুর শহর ডুবে গিয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এক মাস শহর জলমগ্ন হয়ে থাকে। পরে ২০১৯ সালে হরিহর নদ খনন করা হয়। তিন বছরের মাথায় সেই নদ আবার পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গত মঙ্গলবার দেখা গেছে, বড়েঙ্গা ত্রিমোহনা থেকে শুরু করে মনিরামপুরের বাধাঘাট শ্মশান পর্যন্ত হরিহর নদ কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। বড়েঙ্গা গ্রামের কৃষক আবদুস সাত্তার বলেন, আপারভদ্রা ও হরিহর এখন ৫ থেকে ৬ ফুট পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। এক মাস আগে বড়েঙ্গা সেতুর নিচে ছেলেরা ক্রিকেট খেলেছে।