ভরা মৌসুমে ইলিশ গেল কোথায়

সমকাল হাতিয়া প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৪

মেঘনা নদীবেষ্টিত দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা। একসময় এ জনপদের খ্যাতি ছিল ইলিশের সাম্রাজ্য হিসেবে। হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের আড়তে দৈনিক কোটি টাকার ইলিশ বেচাকেনা হতো। কিন্তু সে ঘাটে এখন হাহাকার। আষাঢ়ের শেষেও মিলছে না মাছ। ভরা মৌসুমে জোগান না থাকায় আড়তে ব্যবসায়ীরা হাত গুটিয়ে বসে থাকছেন। যে অল্প কিছু ইলিশ আসছে, তার দাম আকাশছোঁয়া। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা।


কেন ইলিশের এমন আকাল– এ নিয়ে কথা হয় বেশ কয়েকজন জেলের সঙ্গে। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের রনজিত চন্দ্র দাশ মেঘনায় মাছ ধরেন ২০ বছর ধরে। অভিজ্ঞ এই জেলে বলেন, এ বছর কম বৃষ্টি হওয়ায় নদীতে পানির প্রবাহ কম। তাই ইলিশ সমুদ্র থেকে তার বিচরণ ক্ষেত্র পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না। রনজিত চারজনকে নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে মাছ ধরেন। মার্চ-এপ্রিল টানা দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর ১ মে ইলিশ ধরা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পরও ইলিশ নেই জানিয়ে রনজিত বলেন, প্রতিবার মাছ ধরতে যেতে নৌকা, তেল, ইঞ্জিন আর সহকারীর খরচ মিলে ৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এখন যে হারে মাছ ধরা পড়ছে, তা বিক্রি করে পোষাচ্ছে না। শুধু নোয়াখালীর হাতিয়া নয়, ইলিশের ‘বাড়ি’ চাঁদপুরের চিত্রও একই। বরিশাল অঞ্চলেও এই মাছ আশানুরূপ ধরা পড়ছে না বলে স্থানীয় জেলেরা জানান।


তবে বাস্তবে ইলিশ দুষ্প্রাপ্য হলেও সরকারি হিসাবে বছর বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ করা হয়েছে ৫.৬৫ লাখ টন, যা ছিল এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫.৫ লাখ টন, ২০১৮-১৯-এ ছিল ৫.৩৩ লাখ টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৫.১৭ টন, ২০১৬-১৭ সালে ছিল ৪.৯৬ লাখ টন। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় পৌনে ছয় লাখ টন। মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ শাখার উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন,  ২০১৫ সালেও জুলাই থেকে ইলিশ আসত। এর পর থেকে প্রতি বছরই ইলিশ ক্রমান্বয়ে একটু দেরিতে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেও এটি হতে পারে। এ বছর মার্চ-এপ্রিলে বৃষ্টিই ছিল না। বৃষ্টি হয়েছে জুন-জুলাইয়ের দিকে। ইলিশ আসার উপযুক্ত পরিবেশ তো থাকতে হবে। কয়েক বছর ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্রচুর ইলিশ মিলছে। তবে মোট উৎপাদন নির্ধারিত হয় সারা বছরের হিসাব দিয়ে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও