বাজার সন্ত্রাস!
বাজার বলতে শুধু কোনো স্থান নয়, বাজার বলতে বোঝায় ব্যবস্থা। অর্থনীতি না বুঝলেও সাধারণ মানুষ এখন এটা হাড়ে হাড়েই বোঝেন। আবার মুক্তবাজার অর্থনীতি নিয়ে উচ্ছ্বাস, বিতর্ক, আশঙ্কা আর বিরোধিতা চলেছে এবং চলছে। যারা প্রবল সমর্থক পুঁজিবাদের এবং বিশেষত মুক্তবাজারের পক্ষে, তারা বলেছেন এবং বলেই চলেছেন বাজার চলবে বাজারের নিয়মে। সরকারের কিছু করার নেই। সরকার শুধু সহায়তা করবে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। জিনিসের দাম নির্ভর করবে চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করে। যদিও চাহিদা ও জোগানের ওপর নির্ভর করার কথা একেবারেই অর্থনীতির গোড়ার বিষয়, কিন্তু বাজারের দিকে তাকালে মনে হয় তার নমুনা খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
এখানে কত চাহিদা, জোগানের পরিমাণ কত, কে সরবরাহ করবে, বিপণন করবে, কে ভোক্তা কোনো হিসাবই কাজ করে না। সব কিছুই অর্থহীন হয়ে পড়ে বাজার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকার কারণে। এই বাজার নিয়ন্ত্রক এখন সিন্ডিকেট। কোন ক্ষেত্রে নেই তারা? কাঁচা মরিচের দাম হাজার টাকা স্পর্শ করল, ভারত থেকে আমদানির ট্রাক আসতে না আসতেই তা নেমে দাঁড়াল ৩০০ টাকায়।
দুদিন পরেই আবার ঊর্ধ্বগামী মরিচের দাম। এর কি ব্যাখ্যা কেউ জানে না? পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও একই ভেলকিবাজি লক্ষ করা গেল। পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম নয়, পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হতে না হতেই দাম বেড়ে গেল হু হু করে। আবার সেই আমদানি! ভারত থেকে আমদানির ঘোষণাতেই কমে গেল দাম।