জাতির ভবিষ্যৎ কেন অন্ধকার হচ্ছে

www.ajkerpatrika.com মহিউদ্দিন খান মোহন প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২৩, ১৫:০৬

‘শিক্ষক’। তিন অক্ষরের এই শব্দটির মহিমা অপরিসীম। সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা অনন্য। শিক্ষক মানে তিনি হবেন সব রকম লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত করার ব্রতে আত্মনিবেদিত একজন মানুষ। একজন শিক্ষক কোনো দুর্নীতি, অপরাধ করতে পারেন, এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।


আমরা যখন স্কুল-কলেজের ছাত্র ছিলাম, তখন দেখতাম স্যাররা কী রকম সৎ জীবনযাপন করতেন। তাঁরা নিজেরা সৎ থেকেছেন, ছাত্রদেরও সৎ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁরা আমাদের কাছে ছিলেন অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। এখন সময় বদলেছে। বিত্তবৈভবের লোভ মানুষকে এমনভাবে গ্রাস করেছে যে নীতিনৈতিকতার ঠাঁই হয়েছে ডাস্টবিনে। কেউ আর ওসবের ধার ধারে না। সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন তাঁর ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাসে লিখেছেন, ‘হায় রে পাতকী অর্থ! তুই যত অনর্থের মূল’। ১৩২ বছর আগে করা তাঁর সেই উক্তির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। টাকার লোভ মানুষকে মুহূর্তে অমানুষ করে তুলতে পারে। এই লোভে পড়ে মানুষ দুর্নীতি-অপকর্মে লিপ্ত হতে দ্বিধা করে না। এমনকি অপরের প্রাণ সংহারেও তাদের হাত কাঁপে না। সাধারণ মানুষের দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়ার খবরে কেউ খুব একটা অবাক হন না। কেননা, অবক্ষয়ের করালগ্রাসে নিপতিত সমাজে এটা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিন্তু যখন শোনা যায় একজন শিক্ষক একই কাজে প্রবৃত্ত হয়েছেন, তখন কপাল চাপড়ে বিলাপ করা ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। কেননা, জাতির ভবিষ্যৎ নাগরিকদের সৎ ও নিষ্ঠাবান হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব যাঁর কাঁধে ন্যস্ত, তিনিই যদি অসাধুতা রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁর কাছ থেকে কি মানুষ তৈরির আশা করা যায়? শিক্ষক সে প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যে-ই হোন না কেন, তিনি তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য সমাজের শ্রদ্ধার আসনে উপবিষ্ট হবেন, এটাই সাধারণ প্রত্যাশা। কিন্তু সে প্রত্যাশা এখন চরম হতাশায় পর্যবসিত হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও