মেরুদণ্ডের রাজনীতি ঠিক করুক পথচলা
আজকাল মেরুদণ্ডসম্পন্ন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যায় না। মেরুদণ্ড বলতে আমরা যা বুঝি, তাতে কোনো ধোঁয়াশা কিছু নেই। কথা না বাড়িয়ে আমরা যদি কয়েকজনের নাম বলি, তাহলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। নেতাজি সুভাষ বোস, স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কিংবা তাজউদ্দীন আহমদের জীবন জানলেই বোঝা সম্ভব মেরুদণ্ড কাকে বলে। আমি যেসব মানুষের কথা বললাম, তাঁদের মধ্যে তিনজনই ছিলেন রাজনৈতিক নেতা, যাঁদের দেখলে, জানলে বা পাঠ করলে আপনি মেরুদণ্ডের সন্ধান পাবেন। অনায়াসে বুঝবেন বাঙালির শিরদাঁড়া তখন কতটা শক্ত ছিল।
সুভাষ বোস ইংরেজের মতো পরাশক্তির চোখে ছিলেন ত্রাস। তখনকার ইংরেজ ছিল এখনকার আমেরিকার চাইতেও শক্তিশালী। নেতাজি আপস জানতেন না। মাথা নোয়াননি বলে বিস্তর কষ্ট আর যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন সারা জীবন। এমনকি তাঁর অন্তর্ধানের রহস্যও উন্মোচিত হয়নি। তাতে কী? যত দিন যাচ্ছে, নেহরুকে ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠছেন তিনি। স্বামী বিবেকানন্দ আজীবন সাম্রাজ্যবাদ আর প্রভুত্বের বিরুদ্ধে লড়েও ছিলেন ঋষি। আর বঙ্গবন্ধু? তাঁর মতো জীবন কজনের আছে? যিনি জীবনের এক বিরাট অংশ কাটিয়েছেন কারাগারে। পাকিস্তানের মতো বর্বর সামরিক জান্তাদের সঙ্গে লড়াই করার বুকের পাটা ছিল না সবার।
- ট্যাগ:
- মতামত
- নির্বাচন
- সাম্প্রতিক রাজনীতি
- গণতন্ত্র