যদি ’১৪ ও ’১৮ সালের মতো নির্বাচন না হয়?

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৩, ১৪:৩৪

কিছুদিন আগেও বিএনপির আন্দোলন করার মুরোদ নেই বলে আওয়ামী লীগের নেতারা যে বুলন্দ আওয়াজ তুলতেন, এখন আর তা শোনা যাচ্ছে না। বরং বিএনপি সরকারি দলের উসকানির মুখেও অহিংস কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে, সেটি জনগণের সমর্থন পাচ্ছে। বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাতে হয়, তারা হরতাল–অবরোধ, জ্বালাও–পোড়াওয়ের ধারা থেকে বেরিয়ে এসেছে। 


অতিসম্প্রতি বিএনপির দুটো কর্মসূচি জনগণের কৌতূহল বাড়িয়েছে—তারুণ্যের সমাবেশ ও নারী সমাবেশ। এসব সমাবেশে বিএনপি কত বেশি লোককে টানতে পারবে, তার চেয়েও দেখার বিষয় হলো ক্ষমতাসীনদের প্রতিক্রিয়া। বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগও একই দিনে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে বিএনপি তাদের কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করল। ক্ষমতাসীন দলের এভাবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও মাঠে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া সাধারণ মানুষ কিন্তু ভালোভাবে নিচ্ছে না। এর মাধ্যমে কি তারা এটাই প্রমাণ করতে চায় যে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে সরকার অপারগ, দলের সহায়তা প্রয়োজন? অতীতে বিএনপি সরকারবিরোধী দলকে শায়েস্তা করতে কী কী অস্ত্র ব্যবহার করেছে, আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিদিন বক্তৃতার মঞ্চে তার বয়ান দেন। কিন্তু জনগণ তো প্রত্যক্ষ করছে আওয়ামী লীগ আমলে বিরোধী দল নির্বিঘ্নে সভা–সমাবেশ করতে পারছে না।


নতুন মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যে এমন অস্থিরতা কাজ করছে যে তাঁরা দলের ভেতরে যে ঘুণ ধরেছে, সেটি টের পাচ্ছেন না। গাজীপুর সিটির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা বেশ আত্মপ্রসাদ লাভ করছেন। কিন্তু নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে কি তাঁরা ভাবতে পেরেছিলেন একজন অখ্যাত প্রার্থীর কাছে দলের প্রার্থী ধরাশায়ী হবেন? গাজীপুর নির্বাচন যঁারা পর্যবেক্ষণ করেছেন, তঁাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, সেখানেও প্রশাসন পুরোপুরি নিরপেক্ষ ছিল না। আজমত উল্লার প্রতি তাদের পক্ষপাত ছিল। যেমন ২০১৮ সালে তারা আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি দেখিয়েছিল। ভোটের আগের দিন মার্কিন ভিসা নীতির খবরটি না এলে ফলাফল হয়তো ভিন্ন হতো। ২০১৮ সালে সিলেট সিটি নির্বাচনের পর সেখানে দায়িত্ব পালনকারী একজন সরকারি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সারা দেশে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার, সিলেটে ভিন্ন ফল হলো কেন? তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতাসীনেরা বুঝতে পারেননি এমনটি হবে। গাজীপুরের নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের জাঁদরেল নেতারা কল্পনাও করতে পারেননি জায়েদা খাতুনের কাছে আজমত উল্লা হেরে যাবেন। আজমত উল্লা হেরেছেন সত্যি। তবে বড় হারটা হয়েছে আওয়ামী লীগেরই। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও