‘নীরব এলাকা’ আর কবে নীরব হবে
সাড়ে তিন বছর আগে সচিবালয়ের চারপাশকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। ওই এলাকায় হর্ন বাজানো নিষেধ থাকলেও কেউ তা মানেন না, আসলে জানেই না বেশিরভার মানুষ।
সেখানকার শব্দ দূষণের মাত্রা আগের মতই থেকে গেছে। কয়েক দফা ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়েও সুফল মেলেনি।
তীব্র শব্দ দূষণের এই নগরের বাসিন্দাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এই এলাকাটিকে ‘নীরব করে’ পরে ধাপে ধাপে নগরের অন্য এলাকাকেও একই ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার পরিকল্পনা ছিল। কথা ছিল হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে– এমন এলাকাগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কিন্তু ‘বিসমিল্লায় গলদে’ আটকে গেছে বাকি সব কাজ। এখন সরকার শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা সংশোধন করে হর্ন বাজানোর শাস্তি বাড়ানোর চিন্তা করছে।
২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সচিবালয় এলাকাকে ‘নীরব’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে এর চারপাশের সড়কে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়।
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) দেখতে পায় ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার পর এক বছরে সচিবালয় এলাকায় শব্দ দূষণ বেড়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
গবেষণার সময় পল্টন মোড়ে সবচেয়ে বেশি ১২৯ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ পাওয়া যায়। সচিবালয়ের উত্তর-পশ্চিমে ও সচিবালয় মধ্য-পূর্বে পাওয়া যায় এক ডেসিবল কম।