সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে হাঙ্গার প্রজেক্ট

প্রথম আলো বদিউল আলম মজুমদার প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩, ১৩:৩৮

হাঙ্গার প্রজেক্ট নিয়ে আপনি ৩০ বছর কাটিয়ে দিলেন। কখন এবং কী উদ্দেশ্যে দেশে সংস্থাটি যাত্রা শুরু হয়?


বদিউল আলম মজুমদার: বাংলাদেশে হাঙ্গার প্রজেক্টের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে। আমি ১৯৯৩ সালের মে মাসে হাঙ্গার প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হই। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের জন্য তো সরকার ও অনেক বেসরকারি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে, আমরা যখন কাজ শুরু করি, তখন অনেককেই জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কোন জিনিসটার অভাব আছে? যেটি পূরণ হচ্ছে না এবং যার কারণে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সমস্যাগুলো এখনো আমাদের দেশে প্রকট। সরকারের নীতিনির্ধারক, অনেক বড় বড় মানুষ, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যেমন ড. ফজলে হোসেন আবেদ, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অনেকের সঙ্গেই আমরা কথা বলেছিলাম। তো তাঁরা বলেছিলেন, তখনকার সময়ে মানে নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে, একটা পরনির্ভরশীলতার মানসিকতা আমাদের রয়ে গেছে এখনো। সে সময় আমাদের বাজেটের বড় অংশ আসত বিদেশি সহায়তা থেকে। মুক্তিযুদ্ধে ফলে আমাদের অনেক কিছুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, সেসবের সংস্কার এবং মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য সারা বিশ্ব থেকে অনেকে সহায়তা করেছে। সেটি কিন্তু একপর্যায়ে আমাদের মধ্যে পরনির্ভরশীলতার মানসিকতাও সৃষ্টি করে। রেহমান সোবহানের ভাষায়, তখন বিদেশিদের মানে দাতাদের দেখলেই আমরা হাউমাউ করে কান্না করে দিতাম আর বলতাম—আমরা গরিব, আমাদের সাহায্য করো, নয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ নেই। সেই পরনির্ভরশীলতার মানসিকতাকে জয় করতেই আমাদের যাত্রা শুরু হয়। হতাশা ও নিরাশা দূর করে মানুষ যাতে নিজের ভাগ্য নিজেই পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নেয়, সে জন্য আমরা কাজ শুরু করি। একদিকে মানুষকে জাগ্রত করা, উজ্জীবিত করা, অনুপ্রাণিত করা, পাশাপাশি অ্যাডভোকেসি করা, যাতে সরকারের নীতিনির্ধারণে পরিবর্তন আসে। এর জন্য সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা অ্যাডভোকেসি শুরু করলাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও