ভালোকে কোরামিন দিয়ে বাঁচাতে হচ্ছে

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩, ১১:২৩

১৯২৯ সালের অক্টোবর মাসে জাপানের আধুনিক জুজুৎসু সংস্থা কোদোকানের ৫ দান বেল্টপ্রাপ্ত জুজুৎসু শিক্ষক শিনজো তাকাগাকি শান্তিনিকেতনে যোগদান করেন। তিনি আসার দুমাস পর (১৩৩৭-এর পৌষ মাসে) রবীন্দ্রনাথ তাকে তার রুমালে একটি গান লিখে উপহার দিয়েছিলেন : ‘সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান, সঙ্কটের কল্পনাতে হোয়োনা ম্রিয়মাণ। মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।’ স্বদেশ পর্যায়ের গানটি ১৩৩৮ সালে কলকাতার নিউ এম্পেয়ার রঙ্গমঞ্চে প্রথম গাওয়া হয়। এই গানটির বাণীর মধ্যে যেকোনো পর্যায়ে পরাধীন বা স্বৈরশাসনাধীন বাঙালির আত্মশক্তি বিকাশের সর্বকালীন প্রেরণা ও প্রাসঙ্গিকতা পরিলক্ষিত হয়।


১৯৪৭ পূর্ব ভারতবর্ষে ও পরবর্তী ২৪ বছরের পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তানে এবং এমনকি ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ও পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক (রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতা কিংবা দুরভিসন্ধি সিদ্ধ, স্বৈরাচার সৃজিত) সমস্যা সংকটকালে স্বাধীন নাগরিকরা প্রতিবাদে সঙ্কোচবোধ করে নিত্যনৈমিত্তিক অপমানিত বোধ করেছে। তাদের মনের মধ্যে সংশয়-সন্দেহবোধ ঢুকিয়ে তাদের নিজেদের অধিকার ও দাবি পেশের ক্ষেত্রে বিহ্বলতায় বারবার বিমূর্ত বিমলিন করেছে স্বার্থবাদীরা। ন্যায়ের-অন্যায়ের অপমৃত্যু আর অন্যায়ের উদগ্র বাহু বিস্তারিত হয়ে তাদের জীবনযাপন, মানবিক মূল্যবোধ চর্চায় বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সেই অব্যক্ত বেদনাবোধের প্রকাশ ঘটেছে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে ডুবিয়ে দিয়েছে, ১৯৬২-এর ছাত্র আন্দোলনে কায়েমি শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার চেয়ে আন্দোলন করেছে, ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের সংগ্রামের সূচনা ঘটে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১-এ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তার পরিণতি লাভ করেছে। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের পরবর্তী পাঁচ দশকে জনগণ বা আমজনতা সব অধিকার অর্জন করতে পারেনি, যার জন্য তারা একাত্তরে রক্ত দিয়েছিল অকাতরে। মনে হবে এখনো তারা সেই আগের (১৯৩০, ১৯৪৭, ১৯৬২) পর্যায়ে বয়ে গিয়েছে। আত্মত্যাগের সুফল জুটেছে টিনের ঘর থেকে পাকা দালানে, খালি থেকে পায়ে জুটেছে জুতা, পোশাক-আশাকে আচার-আচরণে স্মার্টনেস এসেছে বা আসছে। কিন্তু তা প্রকৃতপক্ষে কতখানি তাৎপর্যবহ হতে পেরেছে তার খতিয়ান বা হিসাব মেলেনি। মাথা পিছু আয় ৩ হাজার ডলারের কাছাকাছি, যার বাস্তব উপস্থিতি উপলব্ধির চত্বরেই পৌঁছাতে পারেনি। দুইশ বিলিয়নের বিদেশি সাহায্য, একশ পঞ্চাশ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স, একশ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই এই মাটিতে প্রথিত হয়ে সত্যিই কি কোনো কার্যকর পরিবর্তন সূচনা করতে পেরেছে? পরিবর্তন যা করেছে বা হয়েছে তা বাংলাদেশের কৃষকরা করেছেন। যারা কোনো আন্দোলন বা বিশ্ব সম্মেলন বা স্বীকৃতি আদায়ে চতুরতার আশ্রয় নেয় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও