তরুণ থাই নেতার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের পরিণতি কী

প্রথম আলো আলতাফ পারভেজ প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩, ১০:০৫

বাংলাদেশের মানুষের আনন্দভ্রমণ আর ফুর্তির অন্যতম গন্তব্য থাইল্যান্ড। ফলে এই দেশ নিয়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষের আগ্রহ আছে। তবে সম্প্রতি সেখানে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তনের যে চেষ্টা চলছে, তা নিয়ে বাংলাদেশের কুলীন সমাজে তেমন আগ্রহ নেই। গণমাধ্যমে খবরাখবরও তুলনামূলক কম। তবে রাজনীতি–সচেতন বাংলাদেশি মানুষের জন্য থাইল্যান্ডের ঘটনাবলি বেশ মনোযোগের দাবি রাখে।


৯ বছরের ব্যবধানে দুই মে মাস যেভাবে আলাদা


‘থাই’ শব্দের একটি অর্থ ‘মুক্ত’ হলেও থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ব্যবস্থা খুব বেশি মুক্ত নয়। এখানে সামাজিকভাবে শক্তিশালী রাজবংশ রয়েছে। পাশাপাশি আছে রাজনীতির প্রতি গভীরভাবে আগ্রহী সশস্ত্র বাহিনী। বেসামরিক আমলাতন্ত্রও দাপটের সঙ্গে চলে। এই তিনের বিপরীতে আছে একটি গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য দেশের মানুষের দীর্ঘ সংগ্রাম।


ঐতিহাসিকভাবে রাজপরিবার, জ্যেষ্ঠ জেনারেল এবং আমলারা মিলে থাইল্যান্ডে গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা মোকাবিলা করে থাকেন। তারপরও সুযোগ পেলেই জনগণ ‘মুক্তি’র প্রত্যাশা জানিয়ে দেয়। সে রকম একটি ঘটনা ঘটল এবার। থাই জনগণ আবার সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশটাকে ‘থাই (মুক্ত) ল্যান্ড’ বানাতে চাইল।

কিন্তু জনগণের এই রায় কত দিন টিকে থাকবে বা তার পরিণতি কী হবে, তা এখনই বলা মুশকিল। থাইল্যান্ডে গত ৯০ বছরে প্রায় ২০টি সংবিধান তৈরি ও বাতিল হয়েছে। একই সময়ে ১৮ বার অভ্যুত্থান হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে মোট ২৮ দফা। দেশটিতে বেসামরিক শাসনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনো শেষ করতে পারেনি স্থানীয় কুলীন সমাজ। থাইল্যান্ডে যেকোনো সংবিধানের বয়স গড়ে চার বছর বলে ধরা হয় এবং সেনা-অভ্যুত্থানের শঙ্কা নিয়ে সেখানে ভোর হয়। এই দেশে সর্বশেষ সেনা-অভ্যুত্থান হয়েছিল ২০১৪ সালের মে মাসে। ৯ বছর পরের একই মে মাসে থাই জনতা জানিয়ে দিল, তারা আজও গণতন্ত্রের পক্ষে।


পুরোনো শাসকদের বিরুদ্ধে ভোটবিপ্লব


সামরিক শাসনের মধ্যেই থাই জনগণকে আন্দোলনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় নির্বাচন আদায় করতে হয়েছে। তবে নির্বাচিত বেসামরিক শাসনকে কখনোই বেশি দিন টিকতে দেওয়া হয়নি। এবারের নির্বাচনের পটভূমি তৈরি করেছে জনসমাজের তিনটি দাবি ঘিরে। সেগুলো হচ্ছে, রাজতন্ত্রের ক্ষমতার সংস্কার, সেনাবাহিনীর তৈরি সংবিধানের সংস্কার এবং পরিপূর্ণ বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা। ১৪ মে বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন হলো। একই দিন তুরস্কের নির্বাচন থাকায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মনোযোগ বেশি ছিল সেদিকে।


২০১৪ সালের অভ্যুত্থানকারীদের তৈরি আইন ও সংবিধানের আলোকেই এবার নির্বাচন হয়েছে। থাই প্রতিনিধি পরিষদ ৫০০ সদস্যের। সেখানে সেনাবাহিনীর বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে ২৫০ আসনবিশিষ্ট সিনেট আছে। প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের যৌথ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। নিয়মটা এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী প্রভাবিত হয়। তাঁকে দুই পরিষদ মিলিয়ে ৩৭৬ সদস্যের সমর্থন পেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতে হবে—এমন বাধ্যবাধকতা নেই। সশস্ত্র বাহিনীর আস্থার মানুষ হলেই চলবে।




সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও