এরদোয়ান কেন প্রথম রাউন্ডে জিততে পারলেন না

প্রথম আলো আলতাফ পারভেজ প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৩, ১১:৩৫

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় রাউন্ডে গড়াল। ২৮ মে সেটা হবে। এরদোয়ান প্রথম রাউন্ডে জিততে না পারায় বাংলাদেশের বিরাটসংখ্যক মানুষ হতাশ। বিস্মিতও অনেকে। হতাশাটা রাজনৈতিক। তবে কেউ কেউ যে আশ্চর্য হয়েছেন, এর একটা কারণ তুরস্কে থাকা বাংলাদেশিরা।


তুরস্কে বৈধভাবে থাকা বাংলাদেশির সংখ্যা খুব বেশি নয়। এর একটা ছোট অংশ গবেষক স্তরের শিক্ষার্থী। দেশটির সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় এক মাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই গবেষকদের অনেকের মতামত দেখা গেছে।


এরদোয়ানের কারণে তুরস্কের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশিদের বিপুল আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে যাঁরা ইসলামপন্থী দলের কর্মী-সমর্থক, তাঁরা এরদোয়ানের ব্যাপারে খুব সহানুভূতিশীল। তবে তুরস্কে থাকা বাংলাদেশি গবেষক শিক্ষার্থীরা ওখানকার নির্বাচন নিয়ে নিজ দেশের মানুষের আগ্রহ নির্মোহভাবে মেটাতে পেরেছেন বলা যায় না।


সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বাংলাদেশের গবেষকেরা নিয়মিত বার্তা দিয়েছেন এরদোয়ান নির্বিঘ্নে নির্বাচনে জিততে চলেছেন। খোদ তুরস্ক থেকে নিজ দেশের উচ্চশিক্ষিতদের এ রকম মতামত দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী বাংলাদেশের মানুষ প্রথম রাউন্ডেই এরদোয়ানের বিজয়ের ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী মৌসুমের শুরু থেকে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা কখনো এমন ছিল না—এরদোয়ান নিশ্চিত জিতবেন। বরং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ছিল।


প্রতিদ্বন্দ্বিতা গণতন্ত্রকে সৌন্দর্য দেয়। তুরস্কে যে জীবন্ত নির্বাচনী গণতন্ত্র আছে—এরদোয়ান যে তা বন্ধ করেননি, সেটা তুরস্কের শক্তি ও সৌন্দর্যের দিক। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বাংলাদেশের প্রচারমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদনে থাকত, তাতে শত শত বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যেত। অনেক পাঠক মনে করতেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা লেখা মানে এরদোয়ানকে হেয় করা।


পাঠকের পছন্দমতো লোকরঞ্জনবাদী না হলে একালে লেখার কদর পাওয়া দায়—বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমে। ফলে টিকে থাকার সংগ্রামে এ দেশের অনেক মিডিয়া বহু আগে এরদোয়ানকে একচেটিয়াভাবে জিতিয়েছে। অথচ লোকরঞ্জনবাদ খোদ তুরস্কে এরদোয়ানকে শেষ পর্যন্ত প্রথম রাউন্ডে জিততে দেয়নি। কিন্তু কেন জনপ্রিয় হয়েও বিশ্বখ্যাত এই শাসককে নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হচ্ছে, সেটা বোঝা জরুরি!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও